a summary of Ernest Hemingway’s “Cat in the Rain” in Bengali, presented as a story:
আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘ক্যাট ইন দ্য রেইন’ (বৃষ্টিতে বিড়াল) গল্পের সারসংক্ষেপ:
গল্পটি শুরু হয় ইতালির একটি হোটেল থেকে, যেখানে একজন আমেরিকান দম্পতি ছুটি কাটাতে এসেছেন। বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। হোটেলটি সমুদ্রের পাশেই, কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাইরে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তাদের হোটেল রুমে বসে আছেন। স্ত্রীর নাম জর্জিয়া, আর স্বামী জর্জ, বিছানায় শুয়ে বই পড়ছেন। জর্জিয়া খুব অস্থির বোধ করছেন। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে দেখে তিনি জানালার কাছে যান। হঠাৎ তিনি হোটেলের উঠোনে একটি ছোট বিড়াল দেখতে পান, যেটি বৃষ্টির মধ্যে আশ্রয় খুঁজছে, সম্ভবত একটি ছাদের কার্নিশের নিচে।
বিড়ালটিকে দেখে জর্জিয়ার মন খারাপ হয়ে যায়। তার খুব মায়া হয়। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি নিচে গিয়ে বিড়ালটিকে নিয়ে আসবেন। তিনি তার স্বামীকে বলেন যে তিনি নিচে যাচ্ছেন বিড়ালটিকে আনতে। তার স্বামী তার দিক থেকে চোখ না তুলেই শুধু বলেন, “ঠিক আছে, যাও।”
জর্জিয়া রুম থেকে বের হন। নিচে নামার সময় তিনি হোটেলের কর্মচারী, দরজায় যিনি দাঁড়িয়ে থাকেন (porter), তার সাথে দেখা করেন। সেই ভদ্রলোক জর্জিয়াকে ছাতা নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখেন এবং তাকে সাহায্য করতে চান। জর্জিয়া একটু অবাক হন কারণ এই ছোট্ট কাজের জন্য কেউ তাকে ছাতা নিয়ে সাহায্য করতে আসছে, তবে তিনি তার ভদ্রতায় মুগ্ধ হন।
তিনি উঠোনে গিয়ে বিড়ালটিকে খুঁজতে থাকেন, কিন্তু বৃষ্টির তীব্রতার কারণে তিনি সেটিকে আর খুঁজে পান না। বিড়ালটি ততক্ষণে হয়তো অন্য কোথাও চলে গেছে। তিনি হতাশ হয়ে উপরে ফিরে আসেন।
উপরে ফিরে এসে তিনি তার স্বামীকে জানান যে তিনি বিড়ালটিকে খুঁজে পাননি। তার স্বামী তখনও বই পড়ছিলেন। জর্জিয়া তখন তার স্বামীর সাথে নিজের অনুভূতি এবং চাওয়া নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন যে তিনি তার চুল লম্বা করতে চান, নিজের মতো করে জিনিসপত্র রাখতে চান, একটা বিড়াল পুষতে চান এবং শান্ত জীবন চান। এক কথায়, তিনি জীবনে কিছু পরিবর্তন এবং উষ্ণতা চান, যা তার বর্তমান জীবনে অনুপস্থিত। তিনি প্রকাশ করেন যে তিনি একজন মা হতে চান এবং নিজের একটা বাড়ি চান।
তার স্বামী জর্জ তার কথা তেমন একটা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন না। তিনি বারবার তাকে “আহ, চুপ করো, বই পড়ো” বা এমন কিছু বলতে থাকেন। স্ত্রীর এই গভীর চাওয়াগুলো তার কাছে হয়তো খুব সাধারণ মনে হচ্ছিল, অথবা তিনি এগুলো নিয়ে ভাবার মতো অবস্থায় ছিলেন না।
ঠিক তখনই দরজায় কড়া নাড়ে। যখন দরজা খোলা হয়, তখন দেখা যায় সেই হোটেল কর্মচারী, অর্থাৎ পোর্টার দাঁড়িয়ে আছেন। তার কোলে একটি ছোট বিড়াল। তিনি বলেন যে তিনি এই বিড়ালটিকে পেয়েছেন এবং ভেবেছেন এটা হয়তো ম্যাডামের বিড়াল। জর্জিয়া বিড়ালটিকে দেখে খুব খুশি হন এবং তার মনে এক ধরনের স্বস্তি আসে।
গল্পটি এই অনিশ্চয়তা দিয়েই শেষ হয় যে, জর্জিয়া আসলে কী চেয়েছিলেন, তা তিনি পেয়েছেন কিনা, নাকি শুধু ক্ষণিকের জন্য একটি সান্ত্বনা পেয়েছেন। এই ছোট গল্পটি দম্পতিদের মধ্যে যোগাযোগে অভাব, একাকীত্ব এবং মহিলাদের চাপা আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরে। বিড়ালটি যেন জর্জিয়ার নিজের চাপা পড়া ইচ্ছাগুলোরই একটি প্রতীক।