Author name: Rifat

Chemistry, Physics

পদার্থের গাঠনিক ধর্ম

পদার্থের গাঠনিক ধর্ম পদার্থের গাঠনিক ধর্ম বলতে বোঝায় পদার্থের অভ্যন্তরীণ গঠন এবং কণাগুলোর মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া যা পদার্থের সামগ্রিক আচরণ নির্ধারণ করে। এই ধর্মগুলো মূলত পদার্থের অণু, পরমাণু এবং আয়ন এবং তাদের মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তির উপর নির্ভর করে। পদার্থের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গাঠনিক ধর্ম হল: ঘনত্ব: প্রতি একক আয়তনে পদার্থের ভর। গলনাঙ্ক: যে তাপমাত্রায় পদার্থ কঠিন থেকে তরলে পরিণত হয়। স্ফুটনাঙ্ক: যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ গ্যাসে পরিণত হয়। কঠোরতা: পদার্থের বিকৃতি প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। নমনীয়তা: পদার্থের ভেঙে না গিয়ে বাঁকানো বা আকৃতি পরিবর্তন করার ক্ষমতা। স্থিতিস্থাপকতা: পদার্থের বিকৃতির পর আবার আগের আকৃতিতে ফিরে আসার ক্ষমতা। সান্দ্রতা: তরল পদার্থের প্রবাহের রোধ। পৃষ্ঠটান: তরল পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল কমানোর প্রবণতা। স্ফটিক গঠন: কঠিন পদার্থের পরমাণু বা অণুগুলির সুশৃঙ্খল বিন্যাস। এই গাঠনিক ধর্মগুলো পদার্থের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন এর শক্তি, স্থায়িত্ব, তাপ পরিবাহিতা, এবং বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা নির্ধারণ করে। এই ধর্মগুলোর উপর ভিত্তি করে আমরা পদার্থকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারি, যেমন ধাতু, অধাতু, এবং উপধাতু। পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে যে আকর্ষণ ও বিকর্ষণ বল কাজ করে তাকে আন্তঃআণবিক বল বলে। এই বল দুই প্রকার: ১. আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল: এই বল অণুগুলোকে একে অপরের কাছে টেনে ধরে রাখে। এই আকর্ষণ বলের কারণে কঠিন ও তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকে। আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেমন: লন্ডন বিচ্ছুরণ বল: এটি সবচেয়ে দুর্বল আন্তঃআণবিক বল। এটি অস্থায়ী ডাইপোলের কারণে সৃষ্টি হয়। দ্বিমেরু-দ্বিমেরু বল: এটি স্থায়ী দ্বিমেরু যুক্ত অণুগুলোর মধ্যে কাজ করে। হাইড্রোজেন বন্ধন: এটি একটি বিশেষ ধরণের দ্বিমেরু-দ্বিমেরু বল যা হাইড্রোজেন পরমাণু এবং তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণু (যেমন অক্সিজেন, ফ্লোরিন) এর মধ্যে সৃষ্টি হয়। ২. আন্তঃআণবিক বিকর্ষণ বল: এই বল অণুগুলোকে একে অপরের থেকে দূরে ঠেলে দেয়। এই বলের কারণে পদার্থ অসীম ভাবে সংকুচিত হতে পারে না। আন্তঃআণবিক আকর্ষণ ও বিকর্ষণ বলের ভারসাম্য: পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ ও বিকর্ষণ বল উভয়ই কাজ করে। এই দুটি বলের ভারসাম্য পদার্থের অবস্থা (কঠিন, তরল, বা গ্যাস) নির্ধারণ করে। কঠিন: কঠিন পদার্থে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল বিকর্ষণ বলের চেয়ে অনেক বেশি হয়। ফলে অণুগুলো একে অপরের খুব কাছে থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট আকৃতি ধারণ করে। তরল: তরল পদার্থে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল কঠিনের চেয়ে কম কিন্তু বিকর্ষণ বলের চেয়ে বেশি হয়। ফলে অণুগুলো একে অপরের কাছে থাকে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট আকৃতি ধারণ করে না। গ্যাস: গ্যাসীয় পদার্থে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল খুবই কম হয়। ফলে অণুগুলো একে অপরের থেকে অনেক দূরে থাকে এবং যে কোন আকৃতি ধারণ করতে পারে। আন্তঃআণবিক বলের গুরুত্ব: আন্তঃআণবিক বল পদার্থের বিভিন্ন ধর্ম নির্ধারণ করে, যেমন: গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল যত বেশি হবে, পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক তত বেশি হবে। সান্দ্রতা: আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল যত বেশি হবে, তরল পদার্থের সান্দ্রতা তত বেশি হবে। পৃষ্ঠটান: আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল যত বেশি হবে, তরল পদার্থের পৃষ্ঠটান তত বেশি হবে। আশা করি এই ব্যাখ্যা আপনার কাছে সহজ বোধগম্য হয়েছে। তরল পদার্থের ক্ষেত্রে আন্তঃআণবিক বল তরল পদার্থের ক্ষেত্রে আন্তঃআণবিক বল কঠিন এবং গ্যাসীয় পদার্থের থেকে আলাদা। কঠিন পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল খুবই শক্তিশালী, যার ফলে অণুগুলো একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে স্থির থাকে। অন্যদিকে, গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল খুবই দুর্বল, যার ফলে অণুগুলো এলোমেলোভাবে চলাফেরা করে। তরল পদার্থ কঠিন এবং গ্যাসীয় পদার্থের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে। তরলের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল কঠিনের চেয়ে দুর্বল কিন্তু গ্যাসের চেয়ে শক্তিশালী। এই আকর্ষণ বলের কারণে তরলের অণুগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, কিন্তু একই সাথে তারা চলাফেরাও করতে পারে। তরল পদার্থের আন্তঃআণবিক বলের প্রধান প্রকারভেদ হলো: ১. লন্ডন বিচ্ছুরণ বল: এটি সবচেয়ে দুর্বল আন্তঃআণবিক বল। এটি সকল অণুর মধ্যে বিদ্যমান, এমনকি অ-মেরু অণুতেও। এই বলের উৎপত্তি হয় ইলেকট্রনের ক্ষণস্থায়ী অসম বন্টনের কারণে। যখন একটি অণুর ইলেকট্রন মেঘ ক্ষণিকের জন্য একদিকে বেশি ঘন হয়, তখন অণুটিতে একটি ক্ষণস্থায়ী দ্বিমেরু (temporary dipole) তৈরি হয়। এই দ্বিমেরু আশেপাশের অণুতেও দ্বিমেরু তৈরি করে, এবং এই দুটি দ্বিমেরুর মধ্যে আকর্ষণ বল লন্ডন বিচ্ছুরণ বল হিসেবে পরিচিত। ২. দ্বিমেরু-দ্বিমেরু বল: এই বল স্থায়ী দ্বিমেরু যুক্ত অণুগুলোর মধ্যে কাজ করে। যেমন, পানির অণু (H₂O) একটি স্থায়ী দ্বিমেরু কারণ অক্সিজেন পরমাণু হাইড্রোজেন পরমাণুর চেয়ে বেশি তড়িৎ ঋণাত্মক। এর ফলে অক্সিজেন পরমাণু আংশিক ঋণাত্মক (δ-) এবং হাইড্রোজেন পরমাণু আংশিক ধনাত্মক (δ+) হয়। একটি পানির অণুর অক্সিজেন পরমাণু অন্য একটি পানির অণুর হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে আকর্ষিত হয়, এবং এই আকর্ষণ বল দ্বিমেরু-দ্বিমেরু বল হিসেবে পরিচিত। ৩. হাইড্রোজেন বন্ধন: এটি একটি বিশেষ ধরণের দ্বিমেরু-দ্বিমেরু বল যা হাইড্রোজেন পরমাণু এবং তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণু (যেমন অক্সিজেন, ফ্লোরিন, নাইট্রোজেন) এর মধ্যে সৃষ্টি হয়। হাইড্রোজেন বন্ধন অন্যান্য দ্বিমেরু-দ্বিমেরু বলের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। পানির অণুতে হাইড্রোজেন বন্ধন বিদ্যমান, এবং এই বন্ধন পানির অনেক অস্বাভাবিক ধর্মের (যেমন উচ্চ স্ফুটনাঙ্ক) জন্য দায়ী। তরল পদার্থের এই আন্তঃআণবিক বলগুলো তরলের বিভিন্ন ধর্ম নির্ধারণ করে, যেমন: সান্দ্রতা: আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল যত বেশি হবে, তরল পদার্থের সান্দ্রতা তত বেশি হবে। সান্দ্রতা হলো তরলের প্রবাহের প্রতিরোধ। উচ্চ সান্দ্রতা যুক্ত তরল (যেমন মধু) ধীরে প্রবাহিত হয়, আর নিম্ন সান্দ্রতা যুক্ত তরল (যেমন পানি) দ্রুত প্রবাহিত হয়। পৃষ্ঠটান: আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল যত বেশি হবে, তরল পদার্থের পৃষ্ঠটান তত বেশি হবে। পৃষ্ঠটান হলো তরল পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল কমানোর প্রবণতা। পৃষ্ঠটানের কারণে পানির স্ফুটনাঙ্ক: আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল যত বেশি হবে, তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক তত বেশি হবে। স্ফুটনাঙ্ক হলো যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ গ্যাসে পরিণত হয়। কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে আন্তঃআণবিক বল  কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে আন্তঃআণবিক বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বলগুলোই মূলত কঠিন পদার্থের গঠন, ধর্ম এবং বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। কঠিন পদার্থের অণুগুলো একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থান করে এবং এদের মধ্যে শক্তিশালী আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল বিদ্যমান। এই আকর্ষণ বলের কারণেই কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার এবং আয়তন থাকে এবং এরা সংকোচন ও প্রসারণ প্রতিরোধ করে। কঠিন পদার্থের আন্তঃআণবিক বলের প্রধান প্রকারভেদ হলো: ১. আয়নিক বন্ধন: এই বন্ধন ধাতু এবং অধাতুর মধ্যে গঠিত হয়। ধাতু পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় এবং অধাতু পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে পরিণত হয়। বিপরীত চার্জযুক্ত এই আয়নগুলোর মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল আয়নিক বন্ধন তৈরি করে। NaCl (সোডিয়াম ক্লোরাইড) একটি আয়নিক যৌগের উদাহরণ। আয়নিক বন্ধন খুবই শক্তিশালী, যার ফলে আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক উচ্চ হয়। ২. সমযোজী বন্ধন: এই বন্ধন দুটি অধাতু পরমাণুর মধ্যে গঠিত হয়। দুটি পরমাণু তাদের যোজ্যতা ইলেকট্রন শেয়ার করে সমযোজী বন্ধন তৈরি করে। হীরক (C) একটি সমযোজী যৌগের উদাহরণ যেখানে কার্বন পরমাণুগুলো একে অপরের সাথে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ। সমযোজী বন্ধন আয়নিক বন্ধনের চেয়ে দুর্বল, তবে এটি এখনও খুব শক্তিশালী এবং কঠিন পদার্থের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৩. ধাতব বন্ধন: এই বন্ধন ধাতু পরমাণুগুলোর মধ্যে গঠিত হয়। ধাতু পরমাণুগুলো তাদের যোজ্যতা

পদার্থের গাঠনিক ধর্ম Read Post »

Uncategorized

এইচএসসির ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৫ অক্টোবর বেলা ১১টায় প্রকাশ করা হবে123. ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন যে, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং) এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হবে12. এই বছর মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে1. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে পরীক্ষাগুলো কয়েক দফা স্থগিত করা হয়েছিল1. আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, আমাকে জানাতে পারেন!

এইচএসসির ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর Read Post »

Chemistry

জে. জে. থমসনের প্লাম পুডিং মডেল

জে. জে. থমসনের প্লাম পুডিং মডেল ১৮৯৭ সালে জে. জে. থমসন ইলেকট্রন আবিষ্কার করার পর পরমাণুর গঠন সম্পর্কে একটি মডেল প্রস্তাব করেন যা “প্লাম পুডিং মডেল” নামে পরিচিত। মডেলের ব্যাখ্যা: * থমসন পরমাণুকে একটি ধনাত্মক আধানযুক্ত গোলক হিসেবে কল্পনা করেছিলেন, যার মধ্যে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। * ঠিক যেমন পুডিংয়ের মধ্যে কিশমিশ ছড়িয়ে থাকে, তেমনি ধনাত্মক আধানের মধ্যে ইলেকট্রনগুলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকে। * ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক আধানের পরিমাণ সমান, তাই পরমাণু সামগ্রিকভাবে নিরপেক্ষ। মডেলের সীমাবদ্ধতা: * এই মডেল পরমাণুর কেন্দ্রে থাকা ধনাত্মক নিউক্লিয়াসের ধারণা দিতে পারেনি। * রাদারফোর্ডের স্বর্ণপাত পরীক্ষার ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারেনি। তরমুজের সাথে তুলনা: থমসনের প্লাম পুডিং মডেলকে তরমুজের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তরমুজের লাল রসালো অংশ ধনাত্মক আধান এবং কালো বীজগুলো ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন। উপসংহার: যদিও থমসনের মডেলটি পরমাণুর গঠন সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক ধারণা দিতে পারেনি, তবুও এটি পরমাণু গঠনের ধারণার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

জে. জে. থমসনের প্লাম পুডিং মডেল Read Post »

Chemistry

রাদারফোর্ডের আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষা

রাদারফোর্ডের আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষাটি ছিল একটি যুগান্তকারী পরীক্ষা যা পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত বিবরণ: রাদারফোর্ড একটি পাতলা সোনার পাতের উপর আলফা কণার (ধনাত্মক চার্জযুক্ত হিলিয়াম নিউক্লিয়াস) একটি রশ্মি নিক্ষেপ করেন। তিনি দেখতে পান যে বেশিরভাগ আলফা কণা সোজা পাতটি ভেদ করে চলে যায়, কিন্তু কিছু কণা বিভিন্ন কোণে বিচ্যুত হয় এবং কিছু কণা প্রায় সম্পূর্ণভাবে পিছনে ফিরে আসে। পরীক্ষার ফলাফল: পরমাণুর অধিকাংশ স্থান ফাঁকা: বেশিরভাগ আলফা কণা সোজা পাতটি ভেদ করে যাওয়ায় রাদারফোর্ড এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে পরমাণুর অধিকাংশ স্থান ফাঁকা। ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস: কিছু আলফা কণা বড় কোণে বিচ্যুত হওয়ায় রাদারফোর্ড ধারণা করেন যে পরমাণুর কেন্দ্রে একটি ধনাত্মক চার্জযুক্ত ভারী কেন্দ্র আছে, যা পরে নিউক্লিয়াস নামে পরিচিত হয়। পারমাণবিক মডেল: রাদারফোর্ড এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন পারমাণবিক মডেল প্রস্তাব করেন, যেখানে ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে থাকে এবং ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসকে ঘিরে ঘোরে। গুরুত্ব: রাদারফোর্ডের আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষা পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল। এই পরীক্ষা পরমাণুর নিউক্লিয়াস আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত করে এবং পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আরও গবেষণার পথ প্রশস্ত করে। রাদারফোর্ডের আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষা: আরো বিস্তারিত খুঁটিনাটি রাদারফোর্ডের আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে, আসুন কিছু খুঁটিনাটি বিষয় আলোচনা করি: পরীক্ষার উদ্দেশ্য: রাদারফোর্ড এই পরীক্ষাটি মূলত থমসনের “প্লাম পুডিং” মডেল পরীক্ষা করার জন্য করেছিলেন। থমসনের মডেল অনুসারে, পরমাণুতে ধনাত্মক চার্জ সমানভাবে ছড়িয়ে থাকে এবং এর মধ্যে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন ছড়িয়ে থাকে। রাদারফোর্ড আশা করেছিলেন যে আলফা কণাগুলি সোনার পাত ভেদ করে সামান্য বিচ্যুত হবে। পরীক্ষার যন্ত্রপাতি: আলফা কণা উৎস: রেডিয়ামের মতো তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আলফা কণা নির্গত হয়। সোনার পাত: খুব পাতলা সোনার পাত (প্রায় 0.00004 সেমি পুরু) ব্যবহার করা হয়েছিল যাতে আলফা কণাগুলি পাতটি ভেদ করতে পারে। ফ্লোরোসেন্ট স্ক্রিন: জিঙ্ক সালফাইডের তৈরি একটি ফ্লোরোসেন্ট স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছিল আলফা কণা শনাক্ত করার জন্য। আলফা কণা স্ক্রিনে আঘাত করলে একটি ছোট আলোক ঝলকানি তৈরি হয়। মাইক্রোস্কোপ: বিচ্যুত আলফা কণা গণনা করার জন্য একটি মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করা হয়েছিল। পর্যবেক্ষণ: অধিকাংশ আলফা কণা সোজা পাতটি ভেদ করে: এই পর্যবেক্ষণ থেকে রাদারফোর্ড এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে পরমাণুর অধিকাংশ স্থান ফাঁকা। কিছু আলফা কণা ছোট কোণে বিচ্যুত হয়: এই পর্যবেক্ষণ থেকে বোঝা যায় যে পরমাণুতে কিছু ধনাত্মক চার্জ আছে যা আলফা কণাগুলিকে বিকর্ষণ করে। খুব কম সংখ্যক আলফা কণা বড় কোণে বিচ্যুত হয় (কিছু ক্ষেত্রে প্রায় ১৮০°): এই পর্যবেক্ষণ ছিল সবচেয়ে আশ্চর্যজনক। এটি ইঙ্গিত দেয় যে পরমাণুর কেন্দ্রে একটি ছোট এবং ভারী ধনাত্মক চার্জযুক্ত কেন্দ্র আছে। বিশ্লেষণ: রাদারফোর্ড পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং গাণিতিক গণনা করে দেখান যে পরমাণুর কেন্দ্রে একটি ছোট এবং ভারী ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস আছে। তিনি এই নিউক্লিয়াসের আকার ও চার্জ অনুমান করতে সক্ষম হন। উপসংহার: রাদারফোর্ডের আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষা পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরীক্ষা ছিল। এই পরীক্ষা থমসনের “প্লাম পুডিং” মডেল বাতিল করে এবং পরমাণুর নিউক্লিয়াস আবিষ্কারের দিকে পরিচালিত করে। এই আবিষ্কার পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আরও গবেষণার পথ প্রশস্ত করে এবং আধুনিক পারমাণবিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করে।

রাদারফোর্ডের আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষা Read Post »

Chemistry

পরমাণুর মডেল

পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করার জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মডেল প্রস্তাব করেছেন। প্রধান প্রধান পরমাণু মডেলগুলো হল: ১. ডাল্টনের পরমাণু মডেল (১৮০৩): মূল ধারণা: পদার্থ অবিভাজ্য কণা দ্বারা গঠিত, যাদেরকে পরমাণু বলা হয়। সীমাবদ্ধতা: পরমাণুর অভ্যন্তরীণ গঠন ব্যাখ্যা করতে পারে না। ২. থমসনের পরমাণু মডেল (১৯০৪): মূল ধারণা: পরমাণু ধনাত্মক চার্জযুক্ত গোলক এবং এর মধ্যে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন ছড়িয়ে আছে, যেন “পুডিংয়ের মধ্যে বেরি”। সীমাবদ্ধতা: আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারে না। ৩. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল (১৯১১): মূল ধারণা: পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস এবং এর চারপাশে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন ঘোরে। সীমাবদ্ধতা: ইলেকট্রনের স্থায়িত্ব এবং পরমাণুর বর্ণালী রেখা ব্যাখ্যা করতে পারে না। ৪. বোরের পরমাণু মডেল (১৯১৩): মূল ধারণা: ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারপাশে নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে ঘোরে এবং শক্তি শোষণ বা বিকিরণ করে এক শক্তিস্তর থেকে অন্য শক্তিস্তরে যেতে পারে। সীমাবদ্ধতা: বহু-ইলেক্ট্রন পরমাণুর বর্ণালী রেখা এবং রাসায়নিক বন্ধন ব্যাখ্যা করতে পারে না। ৫. কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেল (১৯২৬-বর্তমান): মূল ধারণা: ইলেকট্রনের অবস্থান এবং ভরবেগ নির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা যায় না, শুধুমাত্র সম্ভাব্যতা নির্ণয় করা যায়। ইলেকট্রন তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা প্রদর্শন করে। সীমাবদ্ধতা: বৃহৎ পরমাণু এবং অণুর জন্য জটিল গণনা প্রয়োজন। উপসংহার: পরমাণু মডেলের এই ধারাবাহিক বিকাশ পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আমাদের বোঝার উন্নতি ঘটিয়েছে। আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেল পরমাণুর আচরণ ব্যাখ্যা করার জন্য সবচেয়ে সফল মডেল, যদিও এটি এখনও কিছু সীমাবদ্ধতা ধারণ করে। বর্তমানে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য পরমাণু মডেল হলো কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেল। এটি ১৯২০ সালের দিকে এরউইন শ্রোডিঙ্গার, ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ, ম্যাক্স বর্ন এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীদের দ্বারা বিকশিত হয়। এই মডেল পূর্ববর্তী মডেলগুলির (যেমন বোর মডেল) সীমাবদ্ধতা দূর করে এবং পরমাণুর আচরণ ব্যাখ্যা করার জন্য কোয়ান্টাম তত্ত্বের নীতিগুলি ব্যবহার করে। কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেলের মূল বৈশিষ্ট্য: তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা: ইলেকট্রন এবং অন্যান্য পারমাণবিক কণা তরঙ্গ এবং কণা উভয় রূপেই আচরণ করে। অনিশ্চয়তা নীতি: একটি ইলেকট্রনের অবস্থান এবং ভরবেগ একই সাথে নির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা অসম্ভব। সম্ভাব্যতা বন্টন: ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে না, বরং একটি সম্ভাব্যতা বন্টনের মাধ্যমে এর অবস্থান বর্ণনা করা হয়। কোয়ান্টাম সংখ্যা: ইলেকট্রনের শক্তি, কৌণিক ভরবেগ এবং অন্যান্য ধর্ম কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা বর্ণনা করা হয়। কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেলের সাফল্য: পরমাণুর বর্ণালী রেখা এবং রাসায়নিক বন্ধন সহ পরমাণুর বিভিন্ন ধর্ম ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়। আধুনিক রসায়ন এবং পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি প্রদান করে। উপসংহার: কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল মডেল পরমাণুর গঠন এবং আচরণ সম্পর্কে আমাদের বর্তমান বোঝার সবচেয়ে সঠিক এবং সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা প্রদান করে। এটি এখনও কিছু সীমাবদ্ধতা ধারণ করে, তবে এটি পরমাণুর অধ্যয়নের জন্য একটি শক্তিশালী এবং ব্যবহারিক মডেল।

পরমাণুর মডেল Read Post »

Chemistry

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল

  রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল ১৯১১ সালে, আর্নেস্ট রাদারফোর্ড তার বিখ্যাত স্বর্ণপাতের পাতলা পাতের উপর আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার মাধ্যমে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে একটি নতুন মডেল প্রস্তাব করেন। এই পরীক্ষার ফলাফল থেকে তিনি উপসংহারে আসেন যে পরমাণুর অধিকাংশ স্থান ফাঁকা এবং এর কেন্দ্রে একটি ধনাত্মক চার্জযুক্ত ভারী কেন্দ্র রয়েছে যা পরমাণুর প্রায় সমস্ত ভর ধারণ করে। এই কেন্দ্রকে তিনি নিউক্লিয়াস নাম দেন। রাদারফোর্ডের মডেলের মূল বৈশিষ্ট্য নিউক্লিয়াস: পরমাণুর কেন্দ্রে একটি ধনাত্মক চার্জযুক্ত ভারী নিউক্লিয়াস থাকে। ইলেকট্রন: ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘোরে। ফাঁকা স্থান: পরমাণুর অধিকাংশ স্থান ফাঁকা। রাদারফোর্ডের মডেলের সফলতা আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার ফলাফল ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়। পরমাণুর ভর এবং চার্জের বন্টন সম্পর্কে ধারণা দেয়। রাদারফোর্ডের মডেলের সীমাবদ্ধতা: ইলেকট্রনের স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা করতে পারে না। ক্লাসিক্যাল পদার্থবিদ্যার নিয়মানুসারে, নিউক্লিয়াসের চারপাশে ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনগুলির শক্তি বিকিরণ করে নিউক্লিয়াসে পতিত হওয়া উচিত। পরমাণুর বর্ণালী রেখা ব্যাখ্যা করতে পারে না। কিছু তথ্য ও ফ্যাক্ট: রাদারফোর্ডের পরীক্ষায় ব্যবহৃত স্বর্ণপাতের পাতটি মাত্র কয়েকটি পরমাণু পুরু ছিল। আলফা কণাগুলি তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে নির্গত হিলিয়াম নিউক্লিয়াস। রাদারফোর্ডের মডেলকে “প্ল্যানেটারি মডেল” বলা হয় কারণ এটি সৌরজগতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। উপসংহার: রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলটি যদিও পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আমাদের বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল, তবুও এর কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। পরবর্তীতে বোর এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীরা রাদারফোর্ডের মডেলের ত্রুটিগুলি সংশোধন করে আরও উন্নত মডেল তৈরি করেন।

রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল Read Post »

Chemistry

বোরের পরমাণু মডেল

বোরের পরমাণু মডেল   ১৯১৩ সালে, ডেনিশ পদার্থবিদ নিলস বোর পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করার জন্য একটি নতুন মডেল প্রস্তাব করেন। এই মডেলটি রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের কিছু ত্রুটি সংশোধন করে এবং কোয়ান্টাম তত্ত্বের ধারণাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। বোরের মডেলটি মূলত হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালী রেখা ব্যাখ্যা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, তবে এটি অন্যান্য পরমাণুর জন্যও কিছুটা প্রযোজ্য। বোরের মডেলের মূল স্বীকার্য: স্থির কক্ষপথ: ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারদিকে নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে ঘোরে। এই শক্তিস্তরগুলিকে স্থির কক্ষপথ বলা হয়। কৌণিক ভরবেগের কোয়ান্টাইজেশন: ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ h/2π এর পূর্ণসংখ্যার গুণিতক। শক্তির কোয়ান্টাইজেশন: প্রতিটি স্থির কক্ষপথের একটি নির্দিষ্ট শক্তি থাকে। ইলেকট্রন যখন এক শক্তিস্তর থেকে অন্য শক্তিস্তরে যায়, তখন শক্তির পার্থক্যের সমান পরিমাণ শক্তি শোষণ বা বিকিরণ করে। বোর মডেলের সাফল্য: হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালী রেখা ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়। রাইডবার্গ ধ্রুবকের মান সঠিকভাবে গণনা করতে পারে। বোর মডেলের সীমাবদ্ধতা: বহু-ইলেক্ট্রন পরমাণুর বর্ণালী রেখা ব্যাখ্যা করতে পারে না। রাসায়নিক বন্ধন ব্যাখ্যা করতে পারে না। জিম্যান প্রভাব ব্যাখ্যা করতে পারে না। হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি মেনে চলে না। কিছু তথ্য ও ফ্যাক্ট: বোরের মডেলটি পরমাণুর কোয়ান্টাম তত্ত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বোরের মডেলটি পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আমাদের বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল। বোরের মডেলটি আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভিত্তি স্থাপনে সাহায্য করেছে। উপসংহার: বোরের পরমাণু মডেলটি যদিও আধুনিক কোয়ান্টাম মেকানিক্স দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, তবুও এটি পরমাণুর গঠন সম্পর্কে আমাদের বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল। বোরের মডেলটি হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালী রেখা ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়েছিল এবং পরমাণুর কোয়ান্টাম তত্ত্বের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। Video

বোরের পরমাণু মডেল Read Post »

Physics

What is inertia ?

জড়তা বা জাড্য (Inertia) জড়তা হলো পদার্থের একটি মৌলিক ধর্ম যা তার গতির অবস্থার পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে। সহজ ভাষায়, কোন বস্তু স্থির থাকলে স্থির থাকতে চায় এবং গতিশীল থাকলে সমবেগে সরলরেখায় গতিশীল থাকতে চায়। এই প্রবণতাই হলো জড়তা। নিউটনের প্রথম সূত্র জড়তার ধারণা ব্যাখ্যা করে: “বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থিরই থাকে এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রুতিতে সরল পথে চলতে থাকে।” জড়তার প্রকারভেদ: স্থিতি জড়তা: স্থির বস্তুর স্থির থাকার প্রবণতা। গতি জড়তা: গতিশীল বস্তুর সমবেগে সরলরেখায় গতিশীল থাকার প্রবণতা। দিক জড়তা: গতিশীল বস্তুর দিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। জড়তার পরিমাপ: জড়তা পরিমাপ করা হয় ভর দ্বারা। ভর যত বেশি হবে, জড়তা তত বেশি হবে। দৈনন্দিন জীবনে জড়তার উদাহরণ: বাস হঠাৎ থেমে গেলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে: বাসের গতির জড়তা বজায় রাখতে চায় যাত্রীদের শরীর, তাই বাস থেমে গেলেও তারা সামনের দিকে গতিশীল থাকতে চায়। গাড়ি হঠাৎ ঘুরলে যাত্রীরা পাশের দিকে ঝুঁকে পড়ে: গাড়ির দিক জড়তা বজায় রাখতে চায় যাত্রীদের শরীর, তাই গাড়ি ঘুরলেও তারা আগের দিকেই গতিশীল থাকতে চায়। ধুলো ঝাড়া: কার্পেট বা কাপড় ঝাড়া দিলে ধুলো বেরিয়ে আসে কারণ কার্পেট বা কাপড়ের গতির পরিবর্তন হয় কিন্তু ধুলোর জড়তা তাকে স্থির অবস্থায় রাখতে চায়। জড়তা এবং বল: বল প্রয়োগ করে জড়তা অতিক্রম করা যায়। বল প্রয়োগের ফলে বস্তুর গতির অবস্থার পরিবর্তন হয়। জড়তার গুরুত্ব: জড়তা পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা আমাদের চারপাশের জগতকে বুঝতে সাহায্য করে। যানবাহন, ক্রীড়া, মহাকাশযান ইত্যাদি ক্ষেত্রে জড়তার প্রভাব বিবেচনা করা হয়। উপসংহার: জড়তা হলো পদার্থের একটি মৌলিক ধর্ম যা তার গতির অবস্থার পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে। ভর দ্বারা জড়তা পরিমাপ করা হয়। জড়তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ঘটনা ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।

What is inertia ? Read Post »

English Grammar

Vocabulary

Vocabulary This comprehensive section aims to enhance learners’ vocabulary and understanding of word usage in English. It covers various aspects of vocabulary building, including definitions, expressions, single-word substitutions, synonyms, antonyms, idioms, and phrases. 1. Definition of Words  This subsection likely provides concise definitions for a selection of words, aiding learners in grasping their precise meanings. It emphasizes the importance of understanding word definitions to use them accurately in context. Example: Protocol: A record of rules. Minute: A written record. Officialese: Language used in offices. 2. Expressions  This part likely focuses on common expressions or phrases used in English, highlighting their meanings and appropriate usage. It could include idiomatic expressions, collocations, or fixed phrases that contribute to natural and fluent language use. Example: Fait accompli: A thing that has been done and cannot be altered now. Lingua franca: The common language, a mixed language. Dilly dally: To waste time. 3. Substitution of Single Words  This subsection likely presents exercises or examples where learners are asked to replace phrases or clauses with single words that convey the same meaning. This practice helps develop conciseness and precision in language expression. Example: Study of religion: Theology Study of heredity: Genetics Study of coins: Numismatics 4. Synonyms & Antonyms This extensive subsection likely provides lists of synonyms (words with similar meanings) and antonyms (words with opposite meanings) for a wide range of words. It emphasizes the importance of understanding word relationships to expand vocabulary and express ideas with greater nuance. Example: Synonym: Abandon – give up, discontinue Antonym: Abandon – retain, support 5. Idioms & Phrases  This subsection likely presents a collection of English idioms and phrases along with their Bengali translations. Idioms are expressions whose meanings cannot be deduced from the literal meanings of their individual words. Understanding idioms is crucial for comprehending natural and colloquial English. Example: A bed of roses: A pleasant or comfortable situation A greenhorn: An inexperienced person A hair-breadth escape: A very narrow escape Overall, the “Vocabulary” section offers a multifaceted approach to vocabulary development. By exploring word definitions, expressions, single-word substitutions, synonyms, antonyms, idioms, and phrases, learners can significantly enhance their understanding and usage of English words, leading to improved communication skills and greater fluency. Let me know if you have any other questions or would like to explore any of these vocabulary aspects in more detail!

Vocabulary Read Post »

English Grammar

Others

Certainly, let’s break down the detailed notes on Vocabulary as presented in the reference text, covering the sections you’ve specified. Vocabulary This comprehensive section aims to enhance learners’ vocabulary and understanding of word usage in English. It covers various aspects of vocabulary building, including definitions, expressions, single-word substitutions, synonyms, antonyms, idioms, and phrases. 1. Definition of Words (Pages 177-178) This subsection likely provides concise definitions for a selection of words, aiding learners in grasping their precise meanings. It emphasizes the importance of understanding word definitions to use them accurately in context. Example: Protocol: A record of rules. Minute: A written record. Officialese: Language used in offices. 2. Expressions (Page 178) This part likely focuses on common expressions or phrases used in English, highlighting their meanings and appropriate usage. It could include idiomatic expressions, collocations, or fixed phrases that contribute to natural and fluent language use. Example: Fait accompli: A thing that has been done and cannot be altered now. Lingua franca: The common language, a mixed language. Dilly dally: To waste time. 3. Substitution of Single Words (Pages 178-185) This subsection likely presents exercises or examples where learners are asked to replace phrases or clauses with single words that convey the same meaning. This practice helps develop conciseness and precision in language expression. Example: Study of religion: Theology Study of heredity: Genetics Study of coins: Numismatics 4. Synonyms & Antonyms (Pages 185-203) This extensive subsection likely provides lists of synonyms (words with similar meanings) and antonyms (words with opposite meanings) for a wide range of words. It emphasizes the importance of understanding word relationships to expand vocabulary and express ideas with greater nuance. Example: Synonym: Abandon – give up, discontinue Antonym: Abandon – retain, support 5. Idioms & Phrases (Pages 204-212) This subsection likely presents a collection of English idioms and phrases along with their Bengali translations. Idioms are expressions whose meanings cannot be deduced from the literal meanings of their individual words. Understanding idioms is crucial for comprehending natural and colloquial English. Example: A bed of roses: A pleasant or comfortable situation A greenhorn: An inexperienced person A hair-breadth escape: A very narrow escape Overall, the “Vocabulary” section offers a multifaceted approach to vocabulary development. By exploring word definitions, expressions, single-word substitutions, synonyms, antonyms, idioms, and phrases, learners can significantly enhance their understanding and usage of English words, leading to improved communication skills and greater fluency. Let me know if you have any other questions or would like to explore any of these vocabulary aspects in more detail!

Others Read Post »

Login