শিশুদের ১০ টি সেরা শিক্ষামূলক নীতি গল্প – Top 10 Moral Stories for Kids in Bengali

বাছাই করা ১০ টি সেরা শিক্ষামূলক নীতি গল্প – Top 10 Moral Stories for Kids

সকল শিশুই গল্প শুনতে খুবই ভালোবাসে। আর বিভিন্ন শিক্ষামূলক গল্পের মাধ্যমে খুব সহজেই শিশুদেরকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করা যায়। গল্পের ছলে খুব বেশি পরিশ্রম না করেই তাদেরকে অনেক রকমের শিক্ষামূলক তথ্য, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পর্কে জানানো, বোঝানো যায় এবং ছোটোরাও আনন্দের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে সেই সব গল্প শুনতে থাকে এবং বুঝতে চেষ্টা করে। তাই শিশুদেরকে গল্প বলার সময়ে এমন কিছু ছোট গল্প বেছে নিন যা শুধুমাত্র আনন্দের নয়, তার সাথে শিক্ষামূলক ও নৈতিকও হয়।
Bangla E School আপনার জন্যে শিশুর জন্যে এমনই বাছাই করা ১০টি শিক্ষামূলক ও নীতিগল্প নিয়ে এসেছে, যা আপনি আপনার শিশুর সাথে চর্চা করতে পারেন।

শিশুদের ১০ টি শিক্ষামূলক নীতি গল্প – Top 10 Moral Stories for Kids in Bengali

1.গল্পের নাম : শিয়াল ও টক আঙ্গুর ফল

একদিন এক ক্ষুধার্ত শেয়াল জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পেলো গাছের ডাল বেয়ে আঙ্গুরের লতা উপরে উঠে গেছে। আর সেখান থেকে থোকা থোকা পাকা পাকা আঙ্গুর ঝুলছে। পাকা আঙ্গুর দেখে ক্ষুদার্ত শেয়ালের জিভে জল এলো। সেই আঙুর খেয়েই পেট ভরাবে বলে শেয়ালটি মনস্থির করল।
সে লাফিয়ে লাফিয়ে ঐ পাকা আঙ্গুর খাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু আঙ্গুরের থোকাগুলি গাছের অনেক উপরে থাকায় সে কিছুতেই নাগাল পেল না। শিয়ালটি অনেকক্ষন চেষ্টা করেও কিছুতেই আঙ্গুর খেতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়লো। আঙ্গুর না খেয়েই অবশেষে সে সেই স্থান ছেড়ে চলে গেল এবং ফেরার পথে যেতে যেতে শিয়ালটি বলতে লাগল -“আঙুর ফল টক; ওই আঙুর আমি খেতেও পারতাম না আর খেলেও আমার পেট ভরত না”।

নীতিকথাঃ নিজের অযোগ্যতা ঢাকার জন্য পরনিন্দা করা অনুচিত।

2.গল্পের নাম : মিথ্যেবাদী রাখাল ও বাঘ

এক রাখাল বালক প্রতিদিন মাঠে গরু চড়াতো।সে ভীষন দুষ্টু ছিলো। একদিন তাঁর মাথায় এক দুষ্টু বুদ্ধি এলো।
‘বাঁচাও বাঁচাও আমার ভেড়ার পালে বাঘ হামলা করেছে’- এই বলে চিৎকার করতে লাগলো সে। সেই চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা সব লাঠি-সোটা,দা-কুড়াল নিয়ে হাজির। কিন্তু কই বাঘ? রাখাল বালক হাসছে। বাঘ আসলে আসেনি। সবাই বুঝলো রাখাল মজা করার জন্য এ কাজ করেছে। সবাই যে যার কাজে ফিরে গেলো।
রাখাল কিন্তু খুব মজা পেয়ে গেলো। কয়েকদিন পরে আবার সে একই কাজ করলো। লোকজন ছুটে এসে দেখলো বাঘ নেই। এরকম কয়েকবার হলো।
একদিন সত্যি সত্যি বাঘ আক্রমন করলো। রাখাল প্রান ভয়ে ‘বাঘ – বাঘ’ বলে চিৎকার করতে লাগলো। কিন্তু সেদিন আর কেও আসলো না। সবাই ভাবলো রাখাল আবারো মজা করছে। বাঘ সকল ভেড়াসহ রাখালের ঘাড় মটকে খেয়ে ফেললো।

নীতিকথাঃ মিথ্যাচার করলে প্রতিফল পেতে হয়।

3.গল্পের নাম : শেয়াল ও কাকের গল্প

এক কাক এক টুকরো মাংস চুরি করে উঁচু গাছের ডালে গিয়ে বসল। গাছের তলায় বসে থাকা এক শিয়ালের তা চোখে পড়েছিল। শিয়াল নীচে থেকে তাই দেখে ভাবতে লাগল, কিভাবে ঐ মাংসটুকু সে নিজে খেতে পায়। সে মনে মনে এক ফন্দি আঁটল।
অনেক ভেবেচিন্তে সে শেষে ঐ কাকের দিকে চেয়ে বলতে লাগল- ভাই, সত্যি কি সুন্দর পাখি তুমি, কি সুন্দর তোমার অঙ্গের গঠন, তোমার পাখিদের রাজা হবার কথা, তোমার অবশ্য কণ্ঠস্বরও যদি তোমার চেহারার মতো সুন্দর হতো, মধুর হতো। কিন্তু হায়! তুমি তো অন্য পাখিদের মতো গান গাইতে পার না।
শেয়ালের এই সকল কথা শুনে কাক আর চুপ থাকতে পারল না। সে এই তোষামুদে প্রশংসায় খুব খুশি হয়ে উঠল। সে তখনই মহোল্লাসে কা-কা রবে ডাকতে শুরু করল। আর অমনি মাংসের টুকরো তার মুখ থেকে নীচে পরে গেল। শেয়াল সঙ্গে সঙ্গে ঐ মাংসের টুকরাে মুখে নিয়ে কাকের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে
বনের ভেতর চলে গেল। কাকের আর মাংস খাওয়া হলো না।

নীতিকথাঃ তোষামোদে যে ভুলে যায় সে লোক বোকা, কারণ তোষামোদ-এর উদ্দেশ্য কখনো ভাল থাকে না।

4.গল্পের নাম : সিংহ ও ইঁদুর

এক সিংহ তাঁর গুহায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। হঠাৎ একটি ছোট্ট ইঁদুর ছোটাছুটি করতে করতে সিংহের নাকের এক ছিদ্রে ঢুকে পড়ল। ফলে সিংহের ঘুম ভেঙ্গে গেল। সে ইঁদুরটিকে থাবা দিয়ে ধরে মেরে ফেলতে উদ্যত হল। ইঁদুরটি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে প্রাণভিক্ষা করে বলল, “দয়া করে আমাকে মেরে ফেলবেন না। সময়ে আমিও আপনার উপকারে আসতে পারি।”
একথা শুনে সিংহটি হেসে বলল, তুই এত ছোট জীব হয়ে আমার কি উপকার করবি? এবং দয়াপরবশ হয়ে সিংহ ইঁদুরটিকে ছেড়ে দিল।
কিছুদিন পর জঙ্গলে সিংহটি একটি দড়ির শক্ত ফাঁদে আটকে পড়ল। ফাঁদে পড়ে সিংহটি ভীষণ গর্জন করতে লাগল। গর্জন শুনে ইঁদুরটি দৌড়ে সেখানে গেল। সিংহের বিপদ দেখে সে তার কানের কাছে গিয়ে তাঁকে গর্জন করতে নিষেধ করল। কারণ যারা ফাঁদ পেতে রেখেছে তাঁরা গর্জন শুনে ছুটে আসতে পারে। তারপর ইঁদুরটি তার দাঁত দিয়ে ফাঁদের দড়ি কাটতে শুরু করল। অবশেষে সে সিংহকে ফাঁদ থেকে মুক্ত করল। মুক্তি পেয়ে সিংহটি ইঁদুরকে ধন্যবাদ দিল এবং সেই সঙ্গে বলল, ‘তোকে আমি অবজ্ঞা করেছিলাম। কিন্তু বুঝলাম, কাউকে অবজ্ঞা করতে নেই’।

নীতিকথাঃ ছোট বলে কাউকে অবজ্ঞা করতে নেই। বিপদে যে কেউ উপকারে আসতে পারে।

5.গল্পের নাম : ভাল্লুক এবং দুই বন্ধু

একদিন দুই বন্ধু জঙ্গলের ভিতর দিয়ে গল্প করতে করতে যাচ্ছিল। হঠাৎ তাদের সামনে এসে হাজির হল এক ভালুক। ভালুককে এগিয়ে আসতে দেখে তারা বেশ ভয় পেয়ে গেল। বিপদ বুঝে এক বন্ধু ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি কাছাকাছি একটা বড় গাছের ওপর চড়ে পড়ল। তার বন্ধু গাছে চড়তে জানতো না, এটা জেনেও বন্ধুর কথা না ভেবে তাকে বিপদে মুখে রেখে সে নিশ্চিতে নিজের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে নিল।অপর বন্ধু গাছে চড়তে জানত না। তাই সে গাছে ওঠার চেষ্টা না করে তাড়াতাড়ি বুদ্ধি খাটিয়ে মাটির ওপরে মড়ার মত দম বন্ধ করে শুয়ে পড়ল। কারণ সে জানত, ভালুক মরা মানুষ ছোঁয় না।ভালুক তার কাছে এসে তার নাক, কান, মুখ, চোখ আর বুক পরীক্ষা করে ভাবল, লােকটা মরে গেছে। তাই সে পাশের বনে ঢুকে গেল।
ভালুক বনের ভেতরে ঢুকে গেছে দেখে অন্য বন্ধুটি তখন গাছ থেকে নেমে এসে বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করল, “বন্ধু, ভালুক তােমার কানে কানে কী বলে গেল?”
যে বন্ধুটি মাটিতে দম বন্ধ হয়ে শুয়েছিল সে তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। এদিকে ওদিক একবার ভাল করে দেখে নিয়ে গম্ভীর হয়ে বলল, “ভালুক আমায় বলে গেল, যে বন্ধু বিপদের সময় বন্ধুকে বিপদে ফেলে রেখে পালায় তার সঙ্গে
কখনও বন্ধুত্ব করতে নেই।”

নীতিকথাঃ বিপদের সময় বন্ধু চেনা যায়

6.গল্পের নাম : একতাই বল

এক কৃষকের চার ছেলে ছিল। ছেলেগুলি একে অপরকে সহ্য করতে পারত না। সারাক্ষণই তাদের মধ্যে ঝগড়া, মারপিট লেগেই থাকতো। এইজন্য কৃষক খুবই দুঃখ পেতেন। কিছুতেই তিনি ছেলেদের মধ্যে সদ্ভব আনতে পারছিলেন না।
এরপর দিন তিনি কয়েকটি লাঠি একত্রিত করে আঁটি বেঁধে এনে চার ছেলের হাতে দিয়ে বললেন : ভাঙ তো দেখি?
কেউই তা ভাঙতে পারল না। কৃষক তখন লাঠি গুলি পৃথক করে একটি একটি করে ছেলেদের হাতে দিয়ে বললেন, এবার ভাঙতে পারবে তো?
তারা যার যার হাতের লাঠি সহজেই ভেঙে ফেলল। কৃষক তখন তার ছেলেদের বুঝিয়ে বললেন, দেখো চিন্তা করে, মিলেমিশে থাকলে কেউ দমাতে পারবেনা। কিন্তু ঝগড়াঝাঁটি করে সবাই যদি ভিন্ন পথ ধরো, তাহলে এককভাবে শত্রুর মোকাবিলায় সহজেই ঘায়েল হয়ে যাবে।

 

নীতিকথাঃ একতায় জয়, বিরোধেই ক্ষয়।

 

7.গল্পের নাম : কুকুর, গাধা ও মনিব

একটি লোকের সুন্দর ছোট্ট একটি কুকুর এবং একটি গাধা ছিল। কুকুরটি সব সময় লোকটির পায়ের গোড়ায় ঘুরঘুর করতো। মনিব তাকে খুবই আদর করতেন। অবসর সময়ে তার সঙ্গে খেলা করতেন। বাইরে কোথাও খেতে গেলে কুকুরটির জন্য কিছু না কিছু খাবার জিনিস উপহার হিসাবে নিয়ে আসতেন।
গাধাটির এসব দেখে খুব হিংসা হতো। একদিন সেও কুকুরটির মত মনিবের পায়ে পায়ে ঘুরঘুর করতে আরম্ভ করল। গাধার মতো এত বড় একটি জন্তু পায়ের কাছে ঘুরঘুর করায়, মনিব গেলেন বেজায় রেগে। রেগে গিয়ে মনিব লাথি মেরে গাধাটিকে তাড়াতে উদ্যত হলেন। সাথে চাকর -বাকরদের নির্দেশ দিলেন উত্তম মধ্যম দিয়ে গাধাটিকে আস্তাবলে বেঁধে রাখতে।

 

নীতিকথাঃ সবাইকে সব জিনিসে মানায় না।

 

 

8.গল্পের নাম : বুদ্ধিমান কাক

বৈশাখ মাসের দুপুর। চারদিক খাঁ খাঁ করছে। এক কাক তৃষ্ণায় কাতর হয়ে জলের সন্ধানে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়িয়েও কোথাও এক ফোঁটা জল পেল না।

এদিকে তার প্রচণ্ড তেষ্টা পেয়েছে। কিন্তু জল কোথায়? তখন সে ক্লান্ত হয়ে এক গাছের ডালে, গিয়ে বসল। কিন্তু এখান থেকেও সে কোথাও জলের চিহ্ন দেখতে পেল না।
হঠাৎ কিছু দূরে একটা কলসী তার নজরে পড়ল। সে ভাবল, হয়ত ঐ কলসীর ভেতরে জল থাকতে পারে। এই ভেবে সে তক্ষুনি গাছের উপর থেকে উড়ে গেল ঐ
কলসীর কাছে। গিয়ে দেখল, কলসীর নীচে সামান্য একটু জল আছে। সে দেখল, কলসীর নীচে যেটুকু জল পড়ে আছে তার নাগাল পাওয়া খুব কঠিন।
তখন তার মাথায় একটা বুদ্ধি এল। সে ভাবল, কলসীটাকে কোনওরকমে কাৎ করতে পারলে হয়তাে জলটুকু পান করা যাবে। এজন্য সে বার বার চেষ্টা করেও কলসীটাকে কিছুতেই কাৎ করতে পারল না।
এমন সময় সে দেখল, কাছেই কতকগুলাে ছােট ছােট পাথরের নুড়ি পড়ে আছে। বুদ্ধিমান কাক একটা একটা করে নুড়ি ঠোটে করে তুলে এনে ফেলতে লাগল ঐ কলসীর ভেতর। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাথরের চাপে কলসীর নীচের জল ওপরে উঠে
এল। তখন ঐ বুদ্ধিমান কাক ঐ জল পান করে তেষ্টা মেটালাে।

 

নীতিকথাঃ বুদ্ধি থাকলে উপায় হয়।

 

9.গল্পের নাম : লোভী কুকুর

একদিন একটি লোভী কুকুর একটি কসাই – এর দোকান থেকে এক টুকরো মাংস চুরি করল। তা দেখে কসাই তাঁর পিছনে তাড়া করল কিন্তু কিছুদূর পর্যন্ত গিয়ে সে তার নিজের দোকানে ফিরে এল। এদিকে কুকুরটা ভীষণ ভয়ে ছুটতে লাগল প্রাণপণে।
অনেকটা যাওয়ার পর সে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখল যে কসাইটা তার দিকে তাড়া করে আসছে কিনা। কাউকে আসতে না দেখে সে তার গতি কমিয়ে ধীরে সুস্থে হাঁটতে লাগল।কিছুক্ষণ পরে সে এসে পৌঁছল একটা ছোট্ট নদীর কাছে।
সে তখন মুখের মাংসের টুকরোটা নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে নদী পার হতে লাগল ।সেসময় নদীর পরিষ্কার জলে তার প্রতিবিম্ব ভেসে উঠতে সে সেদিকে তাকিয়ে দেখল। লোভী আর বোকা কুকুরটা নিজের প্রতিবিম্বকে মাংস মুখে অন্য একটি কুকুর মনে করল।সেই মাংসের টুকরোটাও পাওয়ার জন্য তার খুব লোভ হলো।
সে এবার অন্য কিছু চিন্তা ভাবনা না করে নদীর জলে ঝাঁপিয়ে পড়ল আর সঙ্গে সঙ্গে জলের স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল।লোভী কুকুরটা মাংসের টুকরোটার সাথে সাথে তার মূল্যবান প্রাণ টা ও হারাল।

নীতিকথাঃ অতিরিক্ত লোভ সর্বনাশের কারণ।

10.গল্পের নাম : খরগোশ ও কচ্ছপ

খরগোশ কি জোরেই ছোটে, যেন বাতাসের আগে উড়ে চলে, আর কচ্ছপ চলে আসতে আসতে হেলেদুলে। কচ্ছপের ঐ রকম হাঁটা দেখে এক খরগোশ একদিন হেসে লুটোপুটিঃ কি হাঁটাই শিখেছ, দাদা! –এত টিটকারি কিসের, এস না পাল্লা দিই! —পাল্লা? হাসালে, বেশ, বলো কোথায়, কতদূর যাওয়ার পাল্লা? কখন শুরু হবে? কচ্ছপ বললে, এখনই। ঐ যে অনেক দূরে নদীর ধারে একটা বটগাছ দেখা যাচ্ছে, এস দেখি ঐখানে কে আগে যেতে পারে! বলার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা শুরু হয়ে গেল ; খরগোশ একটু দৌড়েই পিছনে তাকিয়ে দেখে কচ্ছপ অনেক পিছে পড়ে আছে। ভীষণ রোদ্দুর। পাশেই গাছের নীচে একটা ঝোপ দেখে ভাবলে এই ছায়ায় কিছুটা ঘুমিয়ে নেওয়া যাক। পরে যখনই যাই ওর আগে পৌছতে পারব। এই ভেবে সে সেই গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ল । কচ্ছপ কিন্তু রোদ্দুর-টদ্দুর গ্রাহ্য না করে ধীরগতিতে একটুও না থেমে চলতে লাগল। বেলা পড়ে এলে খরগোশের ঘুম ভাঙল। সে তখন আশেপাশে তাকিয়ে কচ্ছপকে না দেখতে পেয়ে ছুটল নদীর তীরের সেই বট গাছের দিকে। সেখানে গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে দেখে কচ্ছপ তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে ।

নীতিকথাঃ ধীর ও স্থির ব্যক্তিরাই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে।