a summary of W. Somerset Maugham’s “The Luncheon” in Bengali, presented as a story:
দ্য লাঞ্চিয়ন (মধ্যাহ্নভোজ) গল্পের সারসংক্ষেপ
গল্পটি শুরু হয় একজন লেখকের (গল্পের কথক) স্মৃতিচারণা দিয়ে। তিনি স্মরণ করছেন বছর বিশেক আগের এক সময়ের কথা, যখন তিনি প্যারিসে খুব সামান্য অর্থ নিয়ে জীবনযাপন করছিলেন এবং সবেমাত্র লেখালেখি শুরু করেছেন। তার তখন খুব কমই আয় ছিল।
এক মহিলা পাঠক তার একটি বই পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি লেখককে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি লেখেন এবং তাকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান। মহিলাটি লেখককে লাঞ্চের জন্য ফয়োটস (Foyot’s) নামক একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অভিজাত রেস্তোরাঁয় দেখা করতে বলেন, যা প্যারিসের সবচেয়ে দামি রেস্তোরাঁগুলোর একটি ছিল। লেখক তখন বয়সে তরুণ এবং কিছুটা সরল প্রকৃতির ছিলেন। তিনি জানতেন তার কাছে খুব বেশি অর্থ নেই, কিন্তু তিনি ভদ্রতা দেখাতে গিয়ে বা না বলার সাহস না পেয়ে মহিলার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে নেন। তার মনে মনে অবশ্য ভয় হচ্ছিল, এত দামি রেস্তোরাঁয় বিল কত আসবে! তার কাছে তখন মাত্র ৮০ ফ্রাঙ্ক ছিল এবং মাস শেষের আরও কিছু দিন বাকি ছিল।
যখন তারা রেস্তোরাঁয় বসেন, লেখক মহিলাটিকে খুব সাধারণ এবং মধ্যবয়সী একজন মহিলা হিসেবে দেখেন। মহিলাটি প্রথমেই লেখককে আশ্বস্ত করেন যে তিনি (মহিলাটি) কখনোই মধ্যাহ্নভোজে কিছু খান না, শুধুমাত্র একটি জিনিস ছাড়া। তিনি বলেন, “আমি কখনোই একটার বেশি কিছু খাই না… তবে যদি আপনি স্যালমন মাছ নিতে চান…” লেখক মনে মনে স্বস্তি পান, কারণ তার ধারণা হয় যে এক স্যালমন মাছে খুব বেশি বিল আসবে না।
কিন্তু মহিলার সেই “একটি জিনিস” বলার পর থেকে একের পর এক খাবারের অর্ডার দিতে থাকেন, যা ছিল সব দামি এবং সুস্বাদু খাবার। প্রথমে তিনি স্যালমন মাছের একটি বড় অংশ অর্ডার করেন। এরপর যখন লেখক একটি সাধারণ মাংসের পদ নিতে চাইলেন, তখন মহিলা তাকে থামিয়ে বলেন যে তিনি নিজে আরও কিছু হালকা খাবার খাবেন। এরপরে তিনি ক্যভিয়ার (caviar), তার পরেই বিশাল আকারের অ্যাসপারাগাস (asparagus), এবং শেষে একটি বড় পীচ ফল (peach) অর্ডার করেন। প্রতিটি খাবারের অর্ডার দেওয়ার আগে মহিলা বারবার বলতে থাকেন যে তিনি আসলে কোনো “বড় লাঞ্চ” করেন না, শুধু এই একটা জিনিস ছাড়া। তার প্রতিটি “এক জিনিস” বলার সাথে সাথে লেখকের মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হয়, কারণ তার পকেট খালি হতে থাকে।
মহিলাটি কথায় কথায় নিজের স্বাস্থ্য এবং খাবার হজম নিয়ে কথা বলতে থাকেন, কিন্তু একই সাথে প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতে থাকেন। লেখক ক্ষুধার্ত থাকা সত্ত্বেও নিজের জন্য খুব সামান্য খাবার অর্ডার করেন, কারণ তার সব চিন্তা ছিল বিলের উপর। তিনি শুধু ভেড়ার মাংসের চপ এবং জল পান করেন।
মধ্যাহ্নভোজ শেষ হওয়ার পর, যখন বিল আসে, লেখক দেখেন তার পুরো ৮০ ফ্রাঙ্ক প্রায় শেষ। তিনি মহিলাকে ট্যাক্সি ভাড়া দেওয়ার জন্য সামান্য কিছু অর্থ হাতে রেখে বিল পরিশোধ করেন। যখন তিনি দেখছিলেন যে তার কাছে আর প্রায় কোনো টাকাই নেই, তখন মহিলাটি হাসতে হাসতে বলেন, “আমি সত্যিই আর কোনো বেশি কিছু খাবো না। আমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। আর একটা জিনিস, আমি বিশ্বাস করি না যে খাবার টেবিলে বসে কেউ দুটো খাবার খাবে।”
গল্পের শেষে লেখক একটি ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সেই মহিলা এখন একশো একত্রিশ বছর বয়সী এবং তার ওজন একুশ স্টোন (প্রায় ১৩৩ কিলোগ্রাম)। লেখক মনে করেন, হয়তো তার এই একার খাবার খাওয়ার অভ্যাসই তাকে এত দীর্ঘজীবী এবং মোটা বানিয়েছে। এটা তার প্রতি এক ধরনের নীরব প্রতিশোধ!
এই গল্পটি হাস্যরস, ব্যাঙ্গ এবং মানুষের কপটতা তুলে ধরে। এটি দেখায় যে কীভাবে একজন ব্যক্তি তার কথা ও কাজের মধ্যে অসঙ্গতি প্রকাশ করতে পারে এবং কীভাবে একজন তরুণ লেখকের জন্য একটি সামান্য মধ্যাহ্নভোজ একটি অর্থনৈতিক দুর্যোগে পরিণত হতে পারে।