ইলেকট্রন বিন্যাসের ভিত্তিতে মৌলের শ্রেণীবিভাগ

Table of Contents

ইলেকট্রন বিন্যাসের ভিত্তিতে মৌলের শ্রেণীবিভাগ

এই অংশে মূলত আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে মৌলগুলোকে তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে পর্যায় সারণিতে সাজানো হয়েছে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • ইলেকট্রন বিন্যাস:

    • প্রতিটি পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে (shell) এবং উপশক্তিস্তরে (subshell) থাকে।
    • ইলেকট্রনগুলো কিভাবে এই শক্তিস্তর এবং উপশক্তিস্তরে সাজানো থাকে, তাকেই ইলেকট্রন বিন্যাস বলে।
    • কোন মৌলের রাসায়নিক ধর্ম কি হবে, তা মূলত এই ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর নির্ভর করে।
  • পর্যায় সারণির ব্লকসমূহ:

    • পর্যায় সারণিতে মৌলগুলোকে বিভিন্ন ব্লকে (s, p, d, f) ভাগ করা হয়েছে।

    • কোন মৌল কোন ব্লকে থাকবে তা নির্ভর করে শেষ ইলেকট্রনটি কোন উপশক্তিস্তরে প্রবেশ করেছে তার উপর।

      • s-ব্লক:

        • গ্রুপ ১ (ক্ষার ধাতু) এবং গ্রুপ ২ (মৃৎক্ষার ধাতু)।
        • এরা খুবই সক্রিয় ধাতু।
      • p-ব্লক:

        • গ্রুপ ১৩ থেকে ১৮ পর্যন্ত।
        • এখানে ধাতু, অধাতু এবং উপধাতু সব ধরনের মৌল আছে।
      • d-ব্লক:

        • গ্রুপ ৩ থেকে ১২ পর্যন্ত।
        • এদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলা হয়।
        • এরা বিভিন্ন রকমের জারণ অবস্থা দেখায় এবং এদের যৌগগুলো প্রায়ই রঙিন হয়।
      • f-ব্লক:

        • এদেরকে অন্তর্বর্তী অবস্থান্তর মৌল বলা হয়।
        • ল্যান্থানাইড এবং অ্যাক্টিনাইড সিরিজ এখানে পড়ে।
        • পর্যায় সারণির নিচে আলাদাভাবে এদের স্থান দেওয়া হয়।
  • ব্লকের মধ্যে মৌলের ধর্ম:

    • একই ব্লকের মৌলগুলোর ইলেকট্রন বিন্যাস একই রকম হওয়ায় এদের রাসায়নিক এবং ভৌত ধর্ম অনেকটা মিলে যায়।

উপসংহার:

ইলেকট্রন বিন্যাস এবং পর্যায় সারণির ব্লক সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে, বিভিন্ন মৌলের ধর্ম এবং তাদের যৌগ সম্পর্কে আন্দাজ করা সহজ হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Today's Lesson

The Courses

Search Here

looking for something ?

Categories