ব্রণ ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে কিশোর বয়সে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলো তেল, ময়লা এবং মৃত কোষ দ্বারা আটকে গেলে হয়।
কেন হয়?
* হরমোনের পরিবর্তন: কিশোর বয়সে, ঋতুচক্রের সময়, গর্ভাবস্থায়, এবং কিছু ঔষধের কারণে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যা ব্রণ হওয়ার একটি প্রধান কারণ।
* বংশগতি: পরিবারে ব্রণের ইতিহাস থাকলে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
* কিছু ঔষধ: কিছু ঔষধ, যেমন কর্টিসোন বা লিথিয়াম ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* তৈলাক্ত ত্বক: যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
* অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: তেলেভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
* মানসিক চাপ: মানসিক চাপ ব্রণ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
* ত্বকের অতিরিক্ত ঘষা: মুখ বেশি ঘষা বা কঠোর স্ক্রাব ব্যবহার ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
* মেকআপ: কিছু মেকআপ ত্বকের রন্ধ্র আটকে ব্রণ তৈরি করতে পারে।
কীভাবে হয়?
১. ত্বকের রন্ধ্র (pores) তেল, ময়লা এবং মৃত কোষ দ্বারা আটকে যায়।
২. এই আটকে যাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়।
৩. ব্যাকটেরিয়া ত্বকে প্রদাহ (inflammation) সৃষ্টি করে।
৪. প্রদাহের ফলে ব্রণ তৈরি হয়।
কখন হয়?
ব্রণ যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে কিশোর বয়সে এবং যুবাদের মধ্যে এটা বেশি হতে দেখা যায়।
প্রতিকার কি?
* মুখ নিয়মিত ধোয়া: দিনে দুইবার মৃদু ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
* তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা: তেলেভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন।
* পর্যাপ্ত পানি পান করা: দিনে প্রচুর পানি পান করুন।
* মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
* মেকআপ সাবধানে ব্যবহার: নন-কমেডোজেনিক মেকআপ ব্যবহার করুন এবং ঘুমানোর আগে মেকআপ ভালোভাবে তুলে ফেলুন।
* ত্বক বেশি ঘষা থেকে বিরত থাকা: মুখ বেশি ঘষা বা কঠোর স্ক্রাব ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
ওষুধ কি?
* ব্রণের ক্রিম: ব্রণের জন্য বিভিন্ন রকম ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। এই ক্রিমগুলো ত্বকের রন্ধ্র খোলা রাখতে এবং ব্যাকটেরিয়া নিরোধে সাহায্য করে।
* মৌখিক ঔষধ: কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার মৌখিক ঔষধ লিখে দিতে পারেন, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক বা হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ।
গুরুত্বপূর্ণ: যদি ব্রণের সমস্যা গুরুতর হয় তাহলে অবশ্যই একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ধন্যবাদ!