নিয়ে নিন উল্লেখিত টপিকসের উপর “প্রিমিয়াম স্মার্ট নোট” একদম ফ্রিতে!
নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন 👇🏻
উল্লেখিত টপিকসের উপর “রেকর্ডেড ক্লাস”এর সম্পূর্ণ প্লেলিস্ট পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন ! 👇🏻
গুননীয়ক ও গুণিতক: মজার গণিতের খেলা!
বন্ধুরা, আজ আমরা গণিতের দুটি মজার বিষয় শিখব: গুননীয়ক আর গুণিতক। এগুলো খুব সহজ আর মজার!
🎓 লেকচার: গুণনীয়ক ও গুণিতক কী?
🔤 বিষয়: প্রাথমিক গণিত
👦 শ্রেণি: শিশু / প্রাথমিক স্তর
📌 উদ্দেশ্য: গুণনীয়ক ও গুণিতকের ধারণা বোঝানো
🟢 প্রথমে জানি – গুণফল কী?
যখন আমরা দুটি সংখ্যা গুণ করি, তখন যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তাকে গুণফল বলে।
📘 যেমন:3 × 4 = 12
এখানে ১২ হলো গুণফল।
🌟 গুণনীয়ক (Factors) কী?
যে সব সংখ্যা কোনো একটি সংখ্যাকে ভাগ দিয়ে পুরোপুরি শেষ (no remainder) করে, সেগুলো হলো গুণনীয়ক।
📘 উদাহরণ:
ধরি, সংখ্যা ১২। এখন দেখি কে কে ১২-কে ভাগ দিতে পারে –
→ 1, 2, 3, 4, 6, 12
✅ কারণ:12 ÷ 1 = 1212 ÷ 2 = 612 ÷ 3 = 412 ÷ 4 = 312 ÷ 6 = 212 ÷ 12 = 1
🎉 তাই ১২-এর গুণনীয়ক = 1, 2, 3, 4, 6, 12
📌 গুণনীয়ক মানে ভাগ হয় এমন সংখ্যা।
🌟 গুণিতক (Multiples) কী?
যে সব সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার সাথে গুণ করে পাওয়া যায়, সেগুলো হলো গুণিতক।
📘 উদাহরণ:
ধরি, সংখ্যা ৪
→ ৪-এর গুণিতক হবে:4 × 1 = 44 × 2 = 84 × 3 = 124 × 4 = 164 × 5 = 20
…এভাবে চলতেই থাকবে।
🎉 তাই ৪-এর গুণিতক = 4, 8, 12, 16, 20, ... (অসীম পর্যন্ত যায়)
📌 গুণিতক মানে গুণ করার ফলে যা পাওয়া যায়।
🎯 মনে রাখার কৌশল (TRICK)
| শব্দ | মনে রাখার উপায় | উদাহরণ |
|---|---|---|
| গুণনীয়ক | সংখ্যা ভাগ হয় এমন সংখ্যা | ৬ এর গুণনীয়ক: 1, 2, 3, 6 |
| গুণিতক | গুণ করে যা পাওয়া যায় | ৬ এর গুণিতক: 6, 12, 18, 24… |
👧 সহজ প্রশ্ন-উত্তর:
প্রশ্ন ১: ১০-এর গুণনীয়ক কী কী?
👉 উত্তর: 1, 2, 5, 10
প্রশ্ন ২: ৭-এর প্রথম ৫টি গুণিতক লেখো।
👉 উত্তর: 7, 14, 21, 28, 35
✨ শেষ কথা:
🔵 গুণনীয়ক মানে: যাদের দিয়ে ভাগ হয়।
🔵 গুণিতক মানে: যাদের দিয়ে গুণ করলে পাওয়া যায়।
📖 গল্প: “টুকটুকি আর সংখ্যার রাজ্য”
এক দেশে ছিল এক বুদ্ধিমতী মেয়ে, নাম টুকটুকি। সে সবসময় নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসত। একদিন সে পৌঁছে গেল এক জাদুর রাজ্যে, যার নাম ছিল সংখ্যার রাজ্য।
এই রাজ্যে প্রতিটি সংখ্যা ছিল জীবন্ত। হঠাৎ সে দেখতে পেল, দুই ভাই তর্ক করছে – একজনের নাম গুণনীয়ক আর অন্যজন গুণিতক।
🔊 তারা কী বলছিল?
গুণনীয়ক বলল: “আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ! আমাকে দিয়ে যে কোনো সংখ্যাকে ভাগ করলে কোনো ভাগশেষ (remainder) থাকে না!”
গুণিতক বলল: “না না! আমি বেশি দরকারি! আমাকে দিয়ে একটি সংখ্যা গুণ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তা দিয়ে অনেক কিছু বানানো যায়!”
টুকটুকি ভাবল – এদের কথা শুনলে তো মাথা ঘুরে যাবে! তখন সংখ্যার রাজ্যের রাজা – সংখ্যা ১২ এসে বলল:
“শোনো টুকটুকি, আমি তোমাকে উদাহরণ দিয়ে সব বুঝিয়ে বলি!”
🟢 রাজা ১২-এর ব্যাখ্যা:
🧩 গুণনীয়ক:
“যে সব সংখ্যা দিয়ে আমাকে (১২) পুরোপুরি ভাগ করা যায়, তারাই হলো আমার গুণনীয়ক।”
🔢 ১২ ÷ 1 = 12
🔢 ১২ ÷ 2 = 6
🔢 ১২ ÷ 3 = 4
🔢 ১২ ÷ 4 = 3
🔢 ১২ ÷ 6 = 2
🔢 ১২ ÷ ১২ = 1
✅ তাই ১২-এর গুণনীয়ক = 1, 2, 3, 4, 6, 12
🧩 গুণিতক:
“আর আমি যখন নিজেকে ১, ২, ৩, ৪… দিয়ে গুণ করি, তখন যে সংখ্যা গুলো তৈরি হয়, তারাই হলো গুণিতক।”
🔢 ১২ × ১ = ১২
🔢 ১২ × ২ = ২৪
🔢 ১২ × ৩ = ৩৬
🔢 ১২ × ৪ = ৪৮
🔢 ১২ × ৫ = ৬০
✅ তাই ১২-এর গুণিতক = 12, 24, 36, 48, 60, …
🏠 বাস্তব জীবনের উদাহরণ
🎈 উদাহরণ ১: চেয়ার আর ছাত্র
একটি ক্লাসে ১২ জন ছাত্র আছে। শিক্ষিকা বললেন: “তোমরা ৩ জন করে এক একটি চেয়ারে বসো।”
➤ এখন ১২ জনকে ৩ জন করে ভাগ করলে কতটি চেয়ার দরকার?
✔️ ১২ ÷ ৩ = ৪ চেয়ার
➡️ এখানে ৩ হলো ১২-এর গুণনীয়ক, কারণ ১২ কে ৩ দিয়ে ভাগ করা যাচ্ছে।
🍎 উদাহরণ ২: আমের ঝুড়ি
একটি ঝুড়িতে ৫টি করে আম রাখা হয়।
টুকটুকি ৫টি করে ঝুড়ি ভরছে:
✔️ ৫ × ১ = ৫
✔️ ৫ × ২ = ১০
✔️ ৫ × ৩ = ১৫
✔️ ৫ × ৪ = ২০
➡️ এখানে ৫-এর গুণিতক হলো 5, 10, 15, 20
🎨 মনে রাখার ছড়া:
যে সংখ্যা দিয়ে ভাগ হয় ঠিকঠাক,
তাকেই ডাকে “গুণনীয়ক”।
আর গুণ করে যা পাওয়া যায়,
গুণিতক সে, মনে রাখো হায়!
🎁 শেষ কথা:
গুণনীয়ক = যে সংখ্যা ভাগ করে
গুণিতক = যে সংখ্যা গুণ করে পাওয়া যায়
📖 গল্প: “দুই বন্ধুর মিল ও ভাগাভাগি – লসাগু আর গসাগু”
এক গ্রামে দুই বন্ধু ছিল – লসাগু আর গসাগু। তারা দুই ভাইয়ের মতো ছিল, কিন্তু তাদের কাজ ছিল একেবারে ভিন্ন!
একদিন টুকটুকি নামের মেয়ে আবার সেই সংখ্যার রাজ্যে ঘুরতে গেল। হঠাৎ দেখতে পেল, দুজন বন্ধু বসে গল্প করছে।
🔊 টুকটুকি জিজ্ঞেস করল:
“তোমরা কে? কী করো?”
🌟 গসাগু বলল (GCD):
“আমার নাম গসাগু। আমি এমন সংখ্যাগুলো খুঁজি, যেগুলো দুই বা তার বেশি সংখ্যাকে ভাগ দিতে পারে একসাথে। আমি সেই সবচেয়ে বড় সংখ্যাটাকে বেছে নিই যেটা দুই সংখ্যাকেই ভাগ দিতে পারে।”
📌 আমার পুরো নাম: গসাগু = গণ-সর্বোচ্চ গুণনীয়ক
(English: GCD = Greatest Common Divisor)
🌟 লসাগু বলল (LCM):
“আর আমি লসাগু। আমি দেখি, কোন সংখ্যা দুটি সংখ্যার গুণিতক একসাথে মিলে যায়। আমি সেই সবচেয়ে ছোট সংখ্যাটাকে বেছে নিই, যেটা দুটো সংখ্যার গুণিতক হিসেবে একসাথে আসে।”
📌 আমার পুরো নাম: লসাগু = লঘুতম সাধারণ গুণিতক
(English: LCM = Least Common Multiple)
🎯 উদাহরণ দিয়ে বুঝি
ধরি, আমরা ৪ ও ৬ দুটি সংখ্যা নিচ্ছি।
🔵 ১. গসাগু (৪ ও ৬ এর)
চল দেখি ৪ ও ৬ এর গুণনীয়ক কে কে:
৪ এর গুণনীয়ক: 1, 2, 4
৬ এর গুণনীয়ক: 1, 2, 3, 6
যা দুইজনের মাঝেই আছে → 1, 2
✅ সবচেয়ে বড় গুণনীয়ক = 2
🎉 তাই ৪ ও ৬ এর গসাগু = 2
🟢 ২. লসাগু (৪ ও ৬ এর)
চল দেখি ৪ ও ৬ এর গুণিতক কে কে:
৪ এর গুণিতক: 4, 8, 12, 16, 20, 24…
৬ এর গুণিতক: 6, 12, 18, 24, 30…
যা দুইজনের মাঝেই আছে → 12, 24…
✅ সবচেয়ে ছোট মিল: 12
🎉 তাই ৪ ও ৬ এর লসাগু = 12
🎈 বাস্তব জীবনের উদাহরণ
🎁 উদাহরণ ১: চকলেট ভাগ করা (গসাগু)
টুকটুকির কাছে ৮টি লজেন্স আর ১২টি চকলেট আছে। সে চায় বন্ধুদের সমানভাবে ভাগ করে দিতে।
প্রশ্ন: কতজন বন্ধুদের মাঝে এগুলো সমানভাবে ভাগ করা যাবে?
➤ গসাগু(8,12) = 4
✅ তাই ৪ জনকে সমানভাবে ভাগ দেওয়া যাবে।
🎉 উদাহরণ ২: একসাথে হাঁটা (লসাগু)
দুইজন ছেলে হাঁটতে বের হয়—একজন ৬ কদমে ঘুরে আসে, আরেকজন ৮ কদমে। প্রশ্ন: তারা কত কদম পর একসাথে আবার শুরুতে মিলবে?
➤ লসাগু(6,8) = 24
✅ তারা ২৪ কদমে আবার একসাথে মিলবে।
🎨 মনে রাখার ছড়া:
একসাথে ভাগ হয় যারা,
গসাগু তাতে ধরে সেরা।গুণ করে মিলে যে যায়,
লসাগু তার নামটা পায়!
📋 মনে রাখার কৌশল (তালিকা):
| বিষয় | গসাগু (GCD) | লসাগু (LCM) |
|---|---|---|
| মানে | সবচেয়ে বড় গুণনীয়ক | সবচেয়ে ছোট গুণিতক |
| কাজ | ভাগ করে | গুণ করে |
| বাস্তব উদাহরণ | চকলেট ভাগ করা | একসাথে হাঁটা শুরু |
| মনে রাখার কৌশল | “গ” = ভাগ করে | “ল” = গুণ করে |
🧠 ছোট প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন ১: ৫ ও ১০ এর গসাগু কত?
👉 উত্তর: ৫
প্রশ্ন ২: ৩ ও ৪ এর লসাগু কত?
👉 উত্তর: ১২
✅ উপসংহার:
🔵 গসাগু = ভাগ করে যা সবচেয়ে বড় হয়
🟢 লসাগু = গুণ করে যা সবচেয়ে ছোট হয়
গুননীয়ক কী?
চলো একটা গল্প বলি। মনে করো, তোমার কাছে ১২টা লজেন্স আছে। এখন তুমি তোমার বন্ধুদের মধ্যে এই লজেন্সগুলো সমান ভাগে ভাগ করে দিতে চাও। তুমি কীভাবে ভাগ করতে পারো?
- তুমি ১ জন বন্ধুকে ১২টা লজেন্স দিতে পারো। (১২ ÷ ১ = ১২)
- তুমি ২ জন বন্ধুকে ৬টা করে লজেন্স দিতে পারো। (১২ ÷ ২ = ৬)
- তুমি ৩ জন বন্ধুকে ৪টা করে লজেন্স দিতে পারো। (১২ ÷ ৩ = ৪)
- তুমি ৪ জন বন্ধুকে ৩টা করে লজেন্স দিতে পারো। (১২ ÷ ৪ = ৩)
- তুমি ৬ জন বন্ধুকে ২টা করে লজেন্স দিতে পারো। (১২ ÷ ৬ = ২)
- তুমি ১২ জন বন্ধুকে ১টা করে লজেন্স দিতে পারো। (১২ ÷ ১২ = ১)
এখানে দেখো, আমরা ১২ কে ১, ২, ৩, ৪, ৬, এবং ১২ দিয়ে ভাগ করতে পেরেছি, আর কোনো লজেন্স বাকি থাকেনি। এই সংখ্যাগুলোই হলো ১২-এর গুননীয়ক।
সহজ কথায়, যেসব সংখ্যা দিয়ে একটি সংখ্যাকে পুরোপুরি ভাগ করা যায় (কোনো ভাগশেষ থাকে না), সেই সংখ্যাগুলোই হলো তার গুননীয়ক।
চলো আরও কিছু উদাহরণ দেখি:
- ৬-এর গুননীয়ক: ১, ২, ৩, ৬ (কারণ ৬ কে ১, ২, ৩, ৬ দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ ০ হয়)
- ১০-এর গুননীয়ক: ১, ২, ৫, ১০
- ১৫-এর গুননীয়ক: ১, ৩, ৫, ১৫
মনে রাখার সহজ উপায়: গুননীয়ক সবসময় মূল সংখ্যাটির সমান বা তার থেকে ছোট হবে।
গুণিতক কী?
এবার অন্য একটা খেলা খেলি। মনে করো, তোমার কাছে একটা খেলনা গাড়ি আছে। তুমি এই গাড়িটা দিয়ে লাফ দিতে পারো। যদি তুমি ২ ঘর পর পর লাফ দাও, তাহলে কোথায় কোথায় যাবে?
২, ৪, ৬, ৮, ১০, ১২, … এভাবে তুমি লাফিয়ে যাবে।
এই যে ২-এর গুণ করে করে আমরা নতুন সংখ্যাগুলো পাচ্ছি (২ গুণ ১ = ২, ২ গুণ ২ = ৪, ২ গুণ ৩ = ৬, ইত্যাদি), এগুলোকেই বলে ২-এর গুণিতক।
সহজ কথায়, একটি সংখ্যাকে ১, ২, ৩, ৪, … ইত্যাদি সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে যে নতুন সংখ্যাগুলো পাওয়া যায়, সেগুলোই হলো তার গুণিতক।
চলো আরও কিছু উদাহরণ দেখি:
- ৩-এর গুণিতক: ৩ (৩x১), ৬ (৩x২), ৯ (৩x৩), ১২ (৩x৪), ১৫ (৩x৫), … (এগুলো কখনোই শেষ হবে না, চলতেই থাকবে)
- ৫-এর গুণিতক: ৫, ১০, ১৫, ২০, ২৫, …
- ৭-এর গুণিতক: ৭, ১৪, ২১, ২৮, ৩৫, …
মনে রাখার সহজ উপায়: গুণিতক সবসময় মূল সংখ্যাটির সমান বা তার থেকে বড় হবে এবং অসংখ্য গুণিতক থাকতে পারে।
গুননীয়ক ও গুণিতকের পার্থক্য
এবার আমরা সহজ করে দেখে নিই গুননীয়ক আর গুণিতকের মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে:
| বৈশিষ্ট্য | গুননীয়ক | গুণিতক |
| কীভাবে পাই? | ভাগ করে (পুরোপুরি ভাগ যায়) | গুণ করে |
| সংখ্যা কেমন হয়? | মূল সংখ্যার সমান বা ছোট | মূল সংখ্যার সমান বা বড় |
| কতগুলো হয়? | নির্দিষ্ট সংখ্যক | অসংখ্য (কখনো শেষ হয় না) |
| উদাহরণ | ১২-এর গুননীয়ক: ১, ২, ৩, ৪, ৬, ১২ | ১২-এর গুণিতক: ১২, ২৪, ৩৬, ৪৮, ৬০, … |
কেন আমরা গুননীয়ক ও গুণিতক শিখি?
এগুলো শেখা খুব জরুরি, কারণ:
- এগুলো দিয়ে আমরা বড় বড় অঙ্ক খুব সহজে করতে পারি।
- আমরা যখন ল.সা.গু (লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক) আর গ.সা.গু (গরিষ্ঠ সাধারণ গুননীয়ক) শিখব, তখন এগুলো আমাদের অনেক সাহায্য করবে।
- এগুলো আমাদের গণিতকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
ল.সা.গু (লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক) কী?
ল.সা.গু-এর পুরো নাম হলো লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক। “লঘিষ্ঠ” মানে হলো সবচেয়ে ছোট, “সাধারণ” মানে হলো সবার মধ্যে আছে এমন, আর “গুণিতক” তো আমরা আগেই শিখেছি।
চলো একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝি। মনে করো, আমরা ২ এবং ৩-এর ল.সা.গু বের করব।
প্রথমে ২-এর গুণিতকগুলো লিখি: ২-এর গুণিতক: ২, ৪, ৬, ৮, ১০, ১২, ১৪, ১৬, ১৮, …
এবার ৩-এর গুণিতকগুলো লিখি: ৩-এর গুণিতক: ৩, ৬, ৯, ১২, ১৫, ১৮, ২১, …
এখন দেখো, ২ এবং ৩-এর গুণিতকগুলোর মধ্যে কোন সংখ্যাগুলো দুটোর মধ্যেই আছে? সাধারণ গুণিতকগুলো হলো: ৬, ১২, ১৮, …
এই সাধারণ গুণিতকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট সংখ্যা কোনটি? হ্যাঁ, সবচেয়ে ছোট সংখ্যাটি হলো ৬।
তাহলে, ২ এবং ৩-এর ল.সা.গু হলো ৬।
সহজ কথায়, দুই বা তার বেশি সংখ্যার সাধারণ গুণিতকগুলোর মধ্যে যে গুণিতকটি সবচেয়ে ছোট, তাকেই ল.সা.গু বলে।
ল.সা.গু বের করার আরও একটি পদ্ধতি আছে, যাকে আমরা মৌলিক উৎপাদকের সাহায্যে ল.সা.গু বলি।
উদাহরণ: ৪ এবং ৬-এর ল.সা.গু বের করি।
৪-এর মৌলিক উৎপাদক: ২ x ২ ৬-এর মৌলিক উৎপাদক: ২ x ৩
এখানে, ২ একবার কমন আছে। বাকি রইলো একটি ২ এবং একটি ৩। তাহলে ল.সা.গু = কমন উৎপাদক x বাকি উৎপাদক = ২ x ২ x ৩ = ১২
গ.সা.গু (গরিষ্ঠ সাধারণ গুননীয়ক) কী?
গ.সা.গু-এর পুরো নাম হলো গরিষ্ঠ সাধারণ গুননীয়ক। “গরিষ্ঠ” মানে হলো সবচেয়ে বড়, “সাধারণ” মানে হলো সবার মধ্যে আছে এমন, আর “গুননীয়ক” আমরা আগেই শিখেছি।
চলো একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝি। মনে করো, আমরা ৮ এবং ১২-এর গ.সা.গু বের করব।
প্রথমে ৮-এর গুননীয়কগুলো লিখি: ৮-এর গুননীয়ক: ১, ২, ৪, ৮
এবার ১২-এর গুননীয়কগুলো লিখি: ১২-এর গুননীয়ক: ১, ২, ৩, ৪, ৬, ১২
এখন দেখো, ৮ এবং ১২-এর গুননীয়কগুলোর মধ্যে কোন সংখ্যাগুলো দুটোর মধ্যেই আছে? সাধারণ গুননীয়কগুলো হলো: ১, ২, ৪
এই সাধারণ গুননীয়কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যা কোনটি? হ্যাঁ, সবচেয়ে বড় সংখ্যাটি হলো ৪।
তাহলে, ৮ এবং ১২-এর গ.সা.গু হলো ৪।
সহজ কথায়, দুই বা তার বেশি সংখ্যার সাধারণ গুননীয়কগুলোর মধ্যে যে গুননীয়কটি সবচেয়ে বড়, তাকেই গ.সা.গু বলে।
গ.সা.গু বের করার আরও একটি পদ্ধতি আছে, যাকে আমরা মৌলিক উৎপাদকের সাহায্যে গ.সা.গু বলি।
উদাহরণ: ১৮ এবং ২৪-এর গ.সা.গু বের করি।
১৮-এর মৌলিক উৎপাদক: ২ x ৩ x ৩ ২৪-এর মৌলিক উৎপাদক: ২ x ২ x ২ x ৩
এখানে, কোন মৌলিক উৎপাদকগুলো দুটোর মধ্যেই আছে? একটি ২ এবং একটি ৩। তাহলে গ.সা.গু = ২ x ৩ = ৬
ল.সা.গু এবং গ.সা.গু-এর ব্যবহার
ল.সা.গু এবং গ.সা.গু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং গণিতের অনেক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে:
- ল.সা.গু: যখন আমরা বিভিন্ন ভগ্নাংশের যোগ-বিয়োগ করি, তখন ল.সা.গু ব্যবহার করে তাদের হর সমান করি। এছাড়াও, যখন কোনো কাজ একই সময়ে আবার কখন ঘটবে তা জানতে চাই (যেমন, দুটি ঘড়ি কখন আবার একসাথে বাজবে), তখন ল.সা.গু কাজে লাগে।
- গ.সা.গু: যখন আমরা কোনো জিনিসকে সমান ভাগে ভাগ করতে চাই এবং সবচেয়ে বড় ভাগটি বের করতে চাই, তখন গ.সা.গু ব্যবহার করি। যেমন, যদি তোমার কাছে কিছু আপেল আর কিছু কমলা থাকে এবং তুমি সেগুলো বন্ধুদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দিতে চাও যাতে কেউ বেশি বা কম না পায়, তখন গ.সা.গু ব্যবহার করে বের করতে পারবে সর্বোচ্চ কতজন বন্ধুকে তুমি ভাগ করে দিতে পারবে।
নিয়ে নিন উল্লেখিত টপিকসের উপর “প্রিমিয়াম স্মার্ট নোট” একদম ফ্রিতে!
নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন 👇🏻
উল্লেখিত টপিকসের উপর “রেকর্ডেড ক্লাস”এর সম্পূর্ণ প্লেলিস্ট পেতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন ! 👇🏻