a summary of Katherine Mansfield’s “The Garden Party” in Bengali
ক্যাথরিন ম্যান্সফিল্ডের ‘দ্য গার্ডেন পার্টি’ (বাগানের ভোজ) গল্পের সারসংক্ষেপ:
গল্পটি শুরু হয় একটি চমৎকার সকালে, যেখানে লাউরা শেরিদানের বাড়িতে একটি বিশাল বাগান পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে। লাউরা, যিনি শেরিদানের তিন মেয়ের মধ্যে একজন, তিনি এই পার্টির সব আয়োজনে খুব উৎসাহী। তার মা এবং বোনদের সাথে তিনিও পার্টির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। বাড়িতে তখন অনেক লোক কাজ করছে – শেফরা খাবার তৈরি করছে, ওয়েটাররা টেবিল সাজাচ্ছে, আর মালীরা বাগান গোছাচ্ছে।
লাউরা বিশেষ করে পার্টির শিল্পসম্মত দিকগুলো নিয়ে খুব আগ্রহী। তিনি মনে করেন এই পার্টিটি খুবই সুন্দর এবং নিখুঁত হওয়া উচিত। যখন তারা তাবু কোথায় বসানো হবে তা নিয়ে কথা বলছিল, তখন লাউরা কিছু শ্রমিকের সাথে কথা বলতে যায়। শ্রমিকরা ছিল সাধারণ মানুষ, তাদের পোশাক এবং চালচলন শেরিদানের পারিবারিক আভিজাত্যের থেকে ভিন্ন। লাউরা তাদের সাথে কথা বলে এক ধরনের সহানুভূতি অনুভব করে এবং তাদের সরলতা তার মন ছুঁয়ে যায়।
পার্টির প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই একটি ভয়াবহ খবর আসে। তাদের বাড়ির কাছেই এক গরীব প্রতিবেশী, মিস্টার স্কট, একটি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি ঘোড়ার গাড়ি থেকে পড়ে মারা গেছেন এবং তার স্ত্রী ও ছোট বাচ্চারা এখন অসহায়।
এই খবর শুনে লাউরা মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সে মনে করে, যখন একটি পরিবার শোক করছে, তখন তাদের পক্ষে এমন একটি আনন্দ উৎসব করাটা খুব অসংবেদনশীল। সে চায় পার্টিটি বাতিল করা হোক। সে তার মাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, এই অবস্থায় তারা কীভাবে পার্টি করতে পারে।
কিন্তু তার মা, মিসেস শেরিদানের প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি মনে করেন, এমন একটি তুচ্ছ ঘটনা (তার কাছে এটি তুচ্ছই মনে হয়) তাদের এত বড় উৎসবকে নষ্ট করতে পারে না। তিনি যুক্তি দেখান যে, মিস্টার স্কটের মৃত্যুর সাথে তাদের পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই এবং মৃত ব্যক্তি জীবিতদের আনন্দ থামিয়ে রাখতে পারে না। এমনকি তিনি এই বিষয়ে লাউরাকে নিয়ে উপহাস করেন। তার বোন এবং পরিবারের অন্যরাও লাউরার মতামতকে ছেলেমানুষি মনে করে।
লাউরা এই পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব একা অনুভব করে। তার মনে হয়, সে আর বাকিদের মধ্যে একটি বড় মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সে অবশেষে তাদের চাপ এবং মায়ের পীড়াপীড়িতে রাজি হয় যে পার্টি হবে। পার্টির সময় লাউরা সবার সাথে মিশে যায়, কিন্তু তার মনের কোণে সেই দুর্ঘটনার খবরটি কাঁটার মতো বিঁধে থাকে।
পার্টি শেষে, সব অতিথিরা চলে যাওয়ার পর, মিসেস শেরিয়ান লাউরাকে বলেন যে, তাদের বাড়িতে এত ভালো ভালো খাবার ছিল, তার কিছু অংশ মিস্টার স্কটের বাড়িতে পাঠানো উচিত। এটা যেন তাদের তরফ থেকে এক ধরনের সহানুভূতি প্রকাশ। তিনি লাউরাকে নিজে গিয়ে খাবারগুলো দিয়ে আসতে বলেন।
লাউরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও খাবার নিয়ে মিস্টার স্কটের বাড়িতে যায়। সেই দরিদ্র পাড়াটি, আর মিস্টার স্কটের ছোট্ট জীর্ণ বাড়িটি দেখে লাউরার মন আরও বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। সে বুঝতে পারে, তার বিলাসবহুল জীবন এবং এই দরিদ্র জীবনধারার মধ্যে কতটা পার্থক্য।
সে মিস্টার স্কটের শোকার্ত পরিবারের সাথে দেখা করে। সেখানে মৃতদেহটিকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। লাউরা যখন মৃত মিস্টার স্কটকে দেখে, তখন সে এক অদ্ভুত অনুভূতি লাভ করে। সে দেখতে পায় যে মৃত্যু মানুষকে কেমন শান্ত এবং নিস্তব্ধ করে দেয়। এই অভিজ্ঞতা তার জন্য একটি গভীর উপলব্ধির জন্ম দেয়। সে মৃত্যুর সামনে জীবনের তুচ্ছতা এবং জীবনের সৌন্দর্যের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ অনুভব করে।
লাউরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন তার ভাই লরি তাকে দেখতে পায়। লাউরা তার ভাইকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে এবং তার সব অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করে। সে বুঝতে পারে জীবনের বৈপরীত্য – এক দিকে আনন্দময় পার্টি আর অন্যদিকে ভয়াবহ মৃত্যু। সে তার ভাইকে বলে, “ইজন্ট ইট কুইয়ার? ইজন্ট ইট মার্ভেলাস?” সে মৃত্যু এবং জীবনের সৌন্দর্যের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক খুঁজে পায়, যা তাকে বিচলিত করে তোলে।
এই গল্পটি সামাজিক শ্রেণী বৈষম্য, মানুষের সহানুভূতি এবং জীবনের বাস্তবতা নিয়ে একটি গভীর আলোচনা তুলে ধরে। লাউরার চরিত্রটি আভিজাত্যের ঘেরা জীবন থেকে বেরিয়ে এসে জীবনের কঠিন সত্যের মুখোমুখি হওয়ার এক যাত্রা দেখায়।