Table of Contents

১৯৪১ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সরাসরি কোনো সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক বা গাণিতিক মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন, কারণ এই দুটি বছরের মধ্যে ৮৪ বছরের ব্যবধান রয়েছে এবং কোনো সাধারণ ঘটনা বা চক্রের পুনরাবৃত্তি স্পষ্ট নয়। তবে, কিছু সম্ভাব্য দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যায়:

 

১. **গাণিতিক দৃষ্টিকোণ**:

– ১৯৪১ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৮৪ বছরের পার্থক্য রয়েছে। ৮৪ কোনো বিশেষ চক্রের (যেমন, হ্যালির ধূমকেতু বা সৌরচক্র) সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।

– উভয় বছরই বিজোড় সংখ্যা, তবে এটি কোনো উল্লেখযোগ্য মিল নয়।

– ক্যালেন্ডারের দিক থেকে, ১৯৪১ সালে বছর শুরু হয়েছিল বুধবারে, আর ২০২৫ সালে বছর শুরু হয়েছে বুধবারে। এটি একটি ক্যালেন্ডার-ভিত্তিক মিল।

 

২. **ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ**:

– ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল, যা বিশ্ব রাজনীতি ও সমাজে বড় প্রভাব ফেলেছিল। ২০২৫ সালে এমন কোনো বিশ্বযুদ্ধ না থাকলেও, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা (যেমন, রাশিয়া-ইউক্রেন বা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত) দেখা যায়। তবে, এটি একটি সাধারণীকৃত তুলনা।

– ১৯৪১ সালে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি (যেমন, কম্পিউটারের প্রাথমিক উন্নয়ন) শুরু হয়েছিল। ২০২৫ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো প্রযুক্তি দ্রুত এগোচ্ছে। প্রযুক্তিগত বিপ্লবের দিক থেকে একটি সাধারণ মিল ধরা যায়।

 

৩. **সাংস্কৃতিক/সামাজিক দৃষ্টিকোণ**:

– ১৯৪১ সালে বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ববঙ্গ) ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল এবং স্বাধীনতার আন্দোলনের বীজ রোপিত হচ্ছিল। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজস্ব পরিচয়ে এগোচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে একটি দূরবর্তী মিল দেখা যায়।

 

৪. **জ্যোতির্বিজ্ঞান বা অন্যান্য চক্র**:

– কোনো নির্দিষ্ট জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা (যেমন, গ্রহণ বা ধূমকেতু) এই দুই বছরে একই রকম ঘটেনি। তবে, ৮৪ বছর ইউরেনাস গ্রহের একটি পূর্ণ কক্ষপথের সময়ের কাছাকাছি (ইউরেনাসের কক্ষপথ ~৮৪ বছর), যা একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক মিল হতে পারে।

 

**সংক্ষেপে**: সবচেয়ে স্পষ্ট মিল হলো ক্যালেন্ডার-ভিত্তিক—উভয় বছরই বুধবারে শুরু হয়েছে। এছাড়া, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাধারণ ধারার মধ্যে দূরবর্তী মিল দেখা যায়। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট (যেমন, বাংলাদেশের ইতিহাস, বিশ্ব ইতিহাস, বা গাণিতিক চক্র) উল্লেখ করেন, তবে আরও নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া যাবে।

১৯৪১ এবং ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডারের মধ্যে প্রধান মিল হলো **দুটি বছরই বুধবারে শুরু হয়েছে**। এছাড়া, নিম্নলিখিত দিক থেকে ক্যালেন্ডার-ভিত্তিক মিল রয়েছে:

 

1. **বছরের প্রথম দিন**:

– ১৯৪১ সালের ১ জানুয়ারি এবং ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি দুটিই বুধবার ছিল। এর ফলে, এই দুই বছরের ক্যালেন্ডারের দিন-তারিখের বিন্যাস একই রকম।

 

2. **ক্যালেন্ডার প্যাটার্ন**:

– ১৯৪১ এবং ২০২৫ উভয়ই সাধারণ বছর (Non-leap year), অর্থাৎ দুটিতেই ৩৬৫ দিন আছে। এ কারণে, মাসের তারিখ এবং সপ্তাহের দিনগুলোর মিল পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ১ জানুয়ারি বুধবার হলে, পুরো বছরের ক্যালেন্ডারের দিন-তারিখ একই ধরনের প্যাটার্ন অনুসরণ করে।

 

3. **চক্রাকার মিল**:

– ক্যালেন্ডারের দিন-তারিখের পুনরাবৃত্তি প্রতি ২৮ বছর পর পর ঘটতে পারে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ৪০০ বছরের চক্রের মধ্যে)। ১৯৪১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ৮৪ বছর, যা ২৮ বছরের তিনগুণ। এ কারণে, ১৯৪১ এবং ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডারের বিন্যাস একই রকম।

 

**উদাহরণ**:

– ১৯৪১ সালে ১৫ আগস্ট ছিল শুক্রবার, এবং ২০২৫ সালেও ১৫ আগস্ট শুক্রবার।

– ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪১ এবং ২০২৫ উভয়ই মঙ্গলবার।

 

**সংক্ষেপে**: ১৯৪১ এবং ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডারের মূল মিল হলো উভয় বছর বুধবারে শুরু হয় এবং সারা বছরের দিন-তারিখের বিন্যাস একই। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বা ঘটনার সাথে মিল খুঁজতে চান, তবে আরও বিস্তারিত বলতে পারি।

১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) বিভিন্ন ফ্রন্টে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছিল। এই বছরটি যুদ্ধের বিস্তৃতির জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এ সময়ে বেশ কয়েকটি নতুন ফ্রন্ট উন্মুক্ত হয় এবং বড় শক্তিগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। নিচে ১৯৪১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত প্রধান যুদ্ধ ও সংঘর্ষের স্থানগুলো উল্লেখ করা হলো:

 

### ১. পূর্ব ফ্রন্ট (ইউরোপ):

– **সোভিয়েত ইউনিয়ন**: ১৯৪১ সালের ২২ জুন নাৎসি জার্মানি অপারেশন বারবারোসার মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান ছিল, যেখানে প্রায় ৩০ লাখ সৈন্য অংশ নেয়। যুদ্ধের প্রধান এলাকাগুলো ছিল:

– **পোল্যান্ড থেকে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল**: জার্মান বাহিনী বেলারুশ, ইউক্রেন এবং বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো (লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া) দখল করে।

– **মিনস্ক, কিয়েভ, স্মোলেনস্ক**: এই শহরগুলোতে বড় যুদ্ধ হয়। কিয়েভের যুদ্ধে (সেপ্টেম্বর ১৯৪১) সোভিয়েত বাহিনীর বিপুল ক্ষতি হয়।

– **লেনিনগ্রাদ (বর্তমান সেন্ট পিটার্সবার্গ)**: জার্মানরা শহরটি অবরোধ করে, যা ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত চলে। এটি ইতিহাসের দীর্ঘতম ও ধ্বংসাত্মক অবরোধগুলোর একটি।

– **মস্কোর দিকে অগ্রসরণ**: বছরের শেষে জার্মানরা মস্কোর কাছে পৌঁছায়, তবে সোভিয়েত পাল্টা আক্রমণে তাদের থামানো হয়।[](https://x.com/voiceofalamin/status/1936672916592308704)

 

### ২. পশ্চিম ইউরোপ:

– **আটলান্টিক মহাসাগর**: আটলান্টিকের যুদ্ধ তীব্র হয়, যেখানে জার্মান ইউ-বোটগুলো মিত্রশক্তির (বিশেষ করে ব্রিটিশ) সরবরাহ জাহাজের উপর হামলা চালায়। এটি মূলত নৌযুদ্ধ ছিল।

– **ব্রিটেন**: ১৯৪০ সালে শুরু হওয়া ব্রিটেনের যুদ্ধ (Battle of Britain) ১৯৪১ সালের প্রথম দিকে কম তীব্র হয়, তবে জার্মান বিমান বাহিনী (লুফটওয়াফে) লন্ডন ও অন্যান্য শহরে বোমাবর্ষণ (দ্য ব্লিটজ) চালিয়ে যায়। মে ১৯৪১-এ ব্লিটজ বড় আকারে থামে।[](https://en.wikipedia.org/wiki/World_War_II)

 

### ৩. বলকান ও দক্ষিণ ইউরোপ:

– **যুগোস্লাভিয়া ও গ্রিস**: ১৯৪১ সালের এপ্রিলে জার্মানি, ইতালি ও তাদের মিত্ররা যুগোস্লাভিয়া ও গ্রিস আক্রমণ করে। যুগোস্লাভিয়া দ্রুত পরাজিত হয়, আর গ্রিস মে মাসের মধ্যে জার্মান নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

– **ক্রিট**: মে ১৯৪১-এ জার্মানরা ক্রিট দ্বীপে বায়ুবাহিত আক্রমণ (অপারেশন মার্কারি) চালায় এবং দ্বীপটি দখল করে। এটি ইতিহাসের প্রথম বড় বায়ুবাহিত আক্রমণ ছিল।[](https://history-maps.com/bn/story/World-War-II)

 

### ৪. উত্তর আফ্রিকা:

– **লিবিয়া ও মিসর**: উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধ ১৯৪১ সালে তীব্র হয়। জার্মান জেনারেল এরউইন রোমেলের নেতৃত্বে আফ্রিকা কর্পস ইতালীয় বাহিনীকে সহায়তা করে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র ছিল:

– **তোবরুক (লিবিয়া)**: জার্মান ও ইতালীয় বাহিনী তোবরুক অবরোধ করে, যা ১৯৪১ সালের বেশিরভাগ সময় চলে।

– **অপারেশন ক্রুসেডার**: নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯৪১-এ ব্রিটিশ বাহিনী তোবরুকের অবরোধ ভাঙতে সফল হয়।[](https://history-maps.com/bn/story/World-War-II)

 

### ৫. প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও এশিয়া:

– **পার্ল হারবার (হাওয়াই)**: ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপান মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে অতর্কিত হামলা চালায়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রবেশ করতে বাধ্য করে।[](https://www.eimuhurte.com/odd-news/is-2025-cursed-how-it-mirrors-1941-the-year-world-war-2-went-global/)[](https://onlinefreenotes.com/%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25AF%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A7-%25E0%25A6%2593-%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE/)

– **দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া**: পার্ল হারবার হামলার পর জাপান একই সঙ্গে ব্রিটিশ, আমেরিকান ও ডাচ উপনিবেশে আক্রমণ শুরু করে। যেমন:

– **মালয়া (বর্তমান মালয়েশিয়া)**: জাপানি বাহিনী মালয় অভিযান শুরু করে, যা সিঙ্গাপুর দখলের দিকে পরিচালিত হয়।

– **ফিলিপিন্স**: জাপান ফিলিপিন্সে মার্কিন ও ফিলিপিনো বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে।

– **থাইল্যান্ড ও বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার)**: জাপান থাইল্যান্ড দখল করে এবং বার্মার দিকে অগ্রসর হয়।

– **চীন**: ১৯৩৭ সাল থেকে চলমান দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ ১৯৪১ সালেও অব্যাহত ছিল। জাপানি বাহিনী চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রমণ চালায়।[](https://bn.wikivoyage.org/wiki/%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC_%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25AF%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A7)

 

### ৬. মধ্যপ্রাচ্য:

– **ইরাক**: মে ১৯৪১-এ ইরাকে অ্যাঙ্গলো-ইরাকি যুদ্ধ হয়। নাৎসি-সমর্থিত ইরাকি সরকারের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী অভিযান চালায় এবং ইরাকের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

– **ইরান**: আগস্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৪১-এ ব্রিটিশ ও সোভিয়েত বাহিনী ইরান আক্রমণ করে (অ্যাঙ্গলো-সোভিয়েত আক্রমণ)। এর উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে মিত্রশক্তির সরবরাহ রক্ষা করা।[](https://x.com/Mollanasraddinx/status/1752745908112900213)

 

### সারাংশ:

১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিস্তৃত হয়। পূর্ব ফ্রন্টে জার্মান-সোভিয়েত যুদ্ধ, প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানের আক্রমণ (বিশেষ করে পার্ল হারবার), উত্তর আফ্রিকায় রোমেলের অভিযান এবং বলকানে জার্মান আক্রমণ এই বছরের প্রধান ঘটনা। এই সংঘর্ষগুলো যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করে এবং বিশ্ব রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে।[](https://en.wikipedia.org/wiki/World_War_II)[](https://history-maps.com/bn/story/World-War-II)

 

যদি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা যুদ্ধের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে জানান!

 

২০২৫ সালে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র সংঘাত ও যুদ্ধ চলমান রয়েছে। এই সংঘাতগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রভিত্তিক যুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ গৃহযুদ্ধ, এবং অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ অন্তর্ভুক্ত। নিচে ২০২৫ সালে চলমান প্রধান সংঘাতের স্থানগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো, যা সাম্প্রতিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে:[](https://www.cfr.org/report/conflicts-watch-2025)[](https://acleddata.com/conflict-watchlist-2025/)[](https://www.crisisgroup.org/global/10-conflicts-watch-2025)

 

### ১. মধ্যপ্রাচ্য:

– **ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন (গাজা ও পশ্চিম তীর)**:

– ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলছে। ২০২৫ সালে গাজায় তীব্র সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে ৫৫,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০০,০০০-এর বেশি আহত হয়েছে। গাজার ৯০% বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত, এবং মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে, যেখানে খাদ্য, পানি, এবং চিকিৎসা সুবিধার অভাব রয়েছে। পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে।[](https://svet.charita.cz/en/news/6-global-conflicts-and-crises-to-watch-in-2025/)[](https://www.cfr.org/report/conflicts-watch-2025)[](https://x.com/AP/status/1932780794931564747)

– **ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ (লেবানন)**:

– ইসরায়েল এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ ২০২৫ সালেও অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর নেতৃত্বের বড় ক্ষতি হয়েছে, তবে শান্তির সম্ভাবনা কম। জানুয়ারি ২০২৫-এ একটি ৬০-দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও, এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলেছে।[](https://acleddata.com/conflict-watchlist-2025/)[](https://riskline.com/forecasts/global-conflict-key-developments/)[](https://www.newsweek.com/10-world-conflicts-trump-will-take-2025-2002990)

– **ইরান-ইসরায়েল**:

– ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ ২০২৫ সালে তীব্রতর হয়েছে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, এবং ইরান ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে পাল্টা হামলা করেছে। এই সংঘাতে পাকিস্তান ইরানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, যা আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে।[](https://x.com/AZK_SA/status/1934000517358735601)[](https://x.com/AP/status/1933422504468423130)[](https://x.com/UN/status/1933691609046266044)

– **সিরিয়া**:

– ২০২৪ সালের শেষে সিরিয়ার সরকারের পতনের পর ২০২৫ সালে দেশটিতে অস্থিতিশীলতা বেড়েছে। অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, এবং ১৬.৭ মিলিয়ন মানুষ মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। সিরিয়ায় একাধিক অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাত (ইসরায়েল, তুরস্ক, ইরান, রাশিয়া) চলছে।[](https://svet.charita.cz/en/news/6-global-conflicts-and-crises-to-watch-in-2025/)[](https://www.rescue.org/article/top-10-crises-world-cant-ignore-2025)[](https://geneva-academy.ch/galleries/today-s-armed-conflicts)

– **ইয়েমেন (লোহিত সাগর সংকট)**:

– হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের উপর মিসাইল ও ড্রোন হামলা এবং লোহিত সাগরে জাহাজের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর জবাবে হুথিদের উপর বিমান হামলা চালিয়েছে।[](https://www.cfr.org/report/conflicts-watch-2025)[](https://en.wikipedia.org/wiki/Category:Conflicts_in_2025)[](https://www.newsweek.com/10-world-conflicts-trump-will-take-2025-2002990)

– **ইরাক**:

– ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং ইসরায়েলি-মার্কিন বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তর সংঘাতের অংশ।[](https://riskline.com/forecasts/global-conflict-key-developments/)

 

### ২. ইউরোপ:

– **ইউক্রেন-রাশিয়া**:

– ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। ২০২৫ সালে এটি তৃতীয় বছরে পড়েছে, এবং রাশিয়া ধীরে ধীরে অঞ্চল দখল করছে। যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। মার্চ ২০২৫-এ একটি ৩০-দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও, রাশিয়া এটি ভঙ্গ করেছে। ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক (রাশিয়া-ইউক্রেন) এবং অভ্যন্তরীণ (ডোনেটস্ক ও লুহানস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী) সংঘাত চলছে।[](https://hartinternational.com/conflicts-to-watch-2025/)[](https://www.mirasafety.com/blogs/news/will-there-be-a-world-war-3)[](https://geneva-academy.ch/galleries/today-s-armed-conflicts)

 

### ৩. আফ্রিকা:

– **সুদান**:

– ২০২৩ সালে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (SAF) এবং র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF) এর মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ২০২৫ সালে এটি তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে, যার ফলে ১৪.৬ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং ৩০.৪ মিলিয়ন মানুষ মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। খার্তুম, সেন্নার, এবং আল-জাজিরাহ রাজ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে।[](https://hartinternational.com/conflicts-to-watch-2025/)[](https://www.rescue.org/article/top-10-crises-world-cant-ignore-2025)[](https://acleddata.com/conflict-watchlist-2025/)

– **সাহেল অঞ্চল (মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজার)**:

– জেএনআইএম (জামা’আত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন) এবং আইএসআইএস-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সাথে সংঘর্ষ শহরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বোকো হারাম এবং আইএসআইএস-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর সাথে সংঘর্ষ চলছে।[](https://hartinternational.com/conflicts-to-watch-2025/)[](https://nordicdefencereview.com/global-conflict-landscape-in-2025-local-wars-and-uprisings/)[](https://nordicdefencereview.com/global-conflict-landscape-in-2025-local-wars-and-uprisings/)

– **দক্ষিণ সুদান**:

– অর্থনৈতিক সংকট এবং ২০২৫ সালে শান্তি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে সংঘর্ষ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। ২.১ মিলিয়ন শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।[](https://www.rescue.org/article/top-10-crises-world-cant-ignore-2025)

– **ইথিওপিয়া**:

– ইথিওপিয়ার লোহিত সাগরে প্রবেশাধিকার নিয়ে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অভ্যন্তরীণ জাতিগত সহিংসতা ২০২৫ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে।[](https://www.cfr.org/report/conflicts-watch-2025)[](https://www.bunker-swiss.com/en/conflict/the-evolution-of-global-conflicts-in-2025-figures-impacts-and-perspectives/)

– **ক্যামেরুন**:

– উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অ্যাংলোফোন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে সংঘর্ষ চলছে। সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সহিংসতা অব্যাহত।[](https://www.crisisgroup.org/crisiswatch)[](https://geneva-academy.ch/galleries/today-s-armed-conflicts)

– **লিবিয়া**:

– বিভিন্ন যুদ্ধরত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বেসামরিক হতাহত এবং বাস্তুচ্যুতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।[](https://www.cfr.org/report/conflicts-watch-2025)

– **কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র**:

– এম২৩ বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষ ২০২৫ সালে তীব্র হয়েছে, বিশেষ করে উত্তর কিভুতে (বুতেম্বো অভিযান)।[](https://en.wikipedia.org/wiki/Category:Conflicts_in_2025)[](https://geneva-academy.ch/galleries/today-s-armed-conflicts)

 

### ৪. এশিয়া:

– **মিয়ানমার**:

– ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। ২০২৫ সালে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো (যেমন, আরাকান আর্মি, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি) সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করেছে। ২,৬০০-এর বেশি অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে খণ্ডিত সংঘাতে পরিণত করেছে।[](https://hartinternational.com/conflicts-to-watch-2025/)[](https://www.rescue.org/article/top-10-crises-world-cant-ignore-2025)

– **পাকিস্তান**:

– আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী প্রদেশে (উত্তর ওয়াজিরিস্তান) জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সাথে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কাশ্মীরে সীমান্ত সংঘর্ষও বেড়েছে।[](https://www.crisisgroup.org/crisiswatch)[](https://en.wikipedia.org/wiki/Category:Conflicts_in_2025)

– দক্ষিণ চীন সাগর:

     – ফিলিপিন্স এবং চীনের মধ্যে স্কারবোরো শোল নিয়ে সামুদ্রিক উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। চীনা এবং ফিলিপিনো নৌবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।[](https://www.crisisgroup.org/crisiswatch)

   – তাইওয়ান প্রণালী:

– চীনের সামরিক মহড়া এবং তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা জোরদার করার কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালে তাইওয়ানের কাছে আন্তর্জাতিক টেলিকম ক্যাবল কাটার ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য চীন বা রাশিয়াকে দায়ী করা হচ্ছে।[](https://nordicdefencereview.com/global-conflict-landscape-in-2025-local-wars-and-uprisings/)

কোরিয়ান উপদ্বীপ:

– উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং সীমান্তে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।[](https://riskline.com/forecasts/global-conflict-key-developments/)[](https://www.newsweek.com/global-conflict-hotspots-2025-us-interests-world-map-2021824)

 

### ৫. আমেরিকা:

– **মেক্সিকো**:

– মাদক কার্টেলের সাথে সংঘর্ষ ২০০৬ সাল থেকে চলছে, যা ২০২৫ সালে তীব্র রয়েছে। প্রায় ৫,০০,০০০ মানুষ নিহত এবং ১,০০,০০০ নিখোঁজ হয়েছে।[](https://www.crisisgroup.org/global/10-conflicts-watch-2025)[](https://acleddata.com/conflict-index/index-july-2024/)

– ২০২১ সালে রাষ্ট্রপতি জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর থেকে গ্যাং সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভিভ আনসানম নামক গ্যাং জোট রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। কেনিয়ার নেতৃত্বে একটি বহুজাতিক পুলিশ মিশন স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।[](https://www.crisisgroup.org/global/10-conflicts-watch-2025)[](https://svet.charita.cz/en/news/6-global-conflicts-and-crises-to-watch-in-2025/)

 

### ৬. অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সংঘাত:

নিউ ক্যালেডোনিয়া:

– ফ্রান্সের সাথে স্বাধীনতার দাবি নিয়ে উত্তেজনা এবং সহিংসতা ২০২৪ সালের দাঙ্গার পর ২০২৫ সালে অব্যাহত রয়েছে।[](https://www.crisisgroup.org/crisiswatch)

পশ্চিম বলকান (কসোভো-সার্বিয়া):

– জাতিগত এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে, যার জন্য আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।[](https://www.cfr.org/report/conflicts-watch-2025)

ইসলামিক স্টেট (আইএস) সংঘর্ষ:

– পান্টল্যান্ড (সোমালিয়া) এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় আইএস-সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহ অব্যাহত রয়েছে।[](https://en.wikipedia.org/wiki/Category:Conflicts_in_2025)

 

### সংক্ষেপ:

২০২৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র সংঘাতগুলো মধ্যপ্রাচ্য (গাজা, লেবানন, ইরান-ইসরায়েল, সিরিয়া, ইয়েমেন), ইউরোপ (ইউক্রেন), আফ্রিকা (সুদান, সাহেল, কঙ্গো), এবং এশিয়ায় (মিয়ানমার, পাকিস্তান, দক্ষিণ চীন সাগর) কেন্দ্রীভূত। এই সংঘাতগুলোর মধ্যে কিছু আন্তর্জাতিক (যেমন, ইরান-ইসরায়েল, রাশিয়া-ইউক্রেন), আর কিছু অভ্যন্তরীণ (যেমন, মিয়ানমার, সুদান)। মানবিক সংকট, বাস্তুচ্যুতি, এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এই সংঘাতগুলোর প্রধান ফলাফল।

 

তুলনা ১৯৪১ সালের সাথে:

১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপ (পূর্ব ফ্রন্ট, পশ্চিম ইউরোপ), উত্তর আফ্রিকা, এশিয়া (চীন, প্রশান্ত মহাসাগর), এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ চলছিল। ২০২৫ সালে সংঘাতগুলো আরও খণ্ডিত এবং অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীর (যেমন, হামাস, হুথি, জেএনআইএম) জড়িত থাকার কারণে জটিল। ১৯৪১ সালে যুদ্ধগুলো প্রধানত রাষ্ট্রভিত্তিক ছিল, যেখানে নাৎসি জার্মানি, জাপান, এবং মিত্রশক্তির মধ্যে সংঘর্ষ ছিল প্রধান। ২০২৫ সালে, রাষ্ট্রীয় এবং অ-রাষ্ট্রীয় উভয় ধরনের সংঘাত রয়েছে, এবং প্রক্সি যুদ্ধ (যেমন, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী বনাম ইসরায়েল) উল্লেখযোগ্য।

Courses

HSC Bangla, Engish & ICT

Search Here

looking for something ?

Categories